শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ তাড়াইলে দুই জুয়ারী গ্রেফতার তাড়াইলে সারসহ উফশী ও আউশ ধান পাচ্ছে ৭৫০ জন কৃষক মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না : চট্টগ্রামে ইসি আনিছুর

ঘুষের টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

বরগুনা (বেতাগী) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৮৯৮ বার পঠিত

বরগুনার বেতাগীতে বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজে কর্মচারি নিয়োগে ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতির মধ্যে কয়েক দফায় বাকবিতণ্ডা শেষে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজে গত ২২ ডিসেম্বর জীববিজ্ঞান ল্যাব সহকারী পদে ১ জন, রসায়ন ল্যাব সহকারী পদে ১ জন, কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে ১ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জন এবং আয়া পদে ১ জনসহ মোট ৫ জন কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধি নিয়মানুসারে নিয়োগকৃত কর্মচারিরা যথাসময় যোগদান করেন। তবে এতে কলেজ পরিচালনা পরিষদ কর্তৃপক্ষ উন্নয়নের বরাত দিয়ে উন্নয়ন তহবিলে ১০ লাখ টাকা এবং গোপনে আরো ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মেধা ও যোগ্যতাসম্পপন্ন একাধিক নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী জানান, কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের কথা। ওই কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ ও সভাপতি কলেজের উন্নয়নের কথা বলে প্রকাশ্যে ৫ জন কর্মচারির কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং গোপনে সদ্য আরো ১০ লাখ কাছ ঘুষ নেয় কলেজ পরিচালনা পরিষদ। এতে নিয়োগ বঞ্চিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। গতকাল শনিবার দুপুরে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা নিয়োগের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এক সভায় বসেন। সভাপতি অধ্যক্ষের কাছে ৫ লাখ টাকা ধার বাবদ নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কলেজের সভাপতি আব্দুল খালেক ও অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাসের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সভাপতি আব্দুল ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষকে মারধর করেন। পরে কলেজের শিক্ষকরা এসে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে নিয়োগের টাকা কলেজের উন্নয়নখাতে ব্যয় করার জন্য সভাপতির সাথে তর্কবিতর্ক হয়েছে। আব্দুল খালেক বলেন, কর্মচারি নিয়োগের উন্নয়নখাতে ব্যয় করার জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। ওই টাকা থেকে আমি ৫ লাখ টাকা ধার নিতে চেয়েছি। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে বিতর্ক হয়েছে। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুরীদ সালেহীন বলেন লিখত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..