শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ তাড়াইলে দুই জুয়ারী গ্রেফতার তাড়াইলে সারসহ উফশী ও আউশ ধান পাচ্ছে ৭৫০ জন কৃষক মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না : চট্টগ্রামে ইসি আনিছুর

মির্জাগঞ্জে শীল বাহিনীর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৭ মে, ২০২২
  • ৬০৭৭ বার পঠিত

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানাধীন চৈতা গ্রামের মানুষ শীল বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ।

এই বাহিনীর নেতৃত্বে অরুণ চন্দ্র শীল ও তারপুত্র অঞ্জন শীল রয়েছে। এই বাহিনীতে সক্রিয় আছে দিপু সিল সহ অনেকেই। ভৌগোলিকভাবে চৈতা গ্রাম পটুয়াখালী , বরিশাল ও বরগুনার বর্ডার এলাকায় হওয়ায় পার্শ্ববর্তী জেলার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী এই বাহিনীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় আছে। এরা শুধু সন্ত্রাসী কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ নয় সংখ্যালঘু নাম ব্যবহার করে বহু মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।

 

এ বিষয়ে চৈতা গ্রামের জালাল মোল্লা বলেন, ছাগলে গাছ খাওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সাথে অরুণ শীলের সামান্য কথা কাটাকাটি হয় সেদিন রাতেই তার নিজ বাড়ির মন্দিরের প্রতিমা ভেঙে আমার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও প্রতিমা ভাঙচুর মামলা দিয়ে ঈদের চাঁদ রাতে গ্রেফতার করায় পরবর্তীতে বিষয়টি মিথ্যে প্রমাণ হলে আদালতে মামলা খারিজ হয়ে যায়। চৈতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমি দিপু শীল ও অরুণ চন্দ্র শীল দখল করতে এলে আমি তা বাধা দেই পরবর্তীতে আমি সহ দশ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি তিন লক্ষ টাকা লুটসহ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। একই গ্রামের শাহীন আকন্দ বলেন আমাকে জমি বিক্রির কথা বলে এক লক্ষ টাকা নিয়েছে পরবর্তীতে জানতে পারি ওই জমির মালিক তিনি নন ওই জমি তার জবরদখলের। এমনকি তার জবরদখলের জমি দেখিয়ে আরও তিনজনের কাছে থেকে তিনি টাকা নিয়েছে আমি টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়।

 

একই গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা বলেন একজন সম্মানিত লোককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে শুনলে আমি তাকে গালমন্দ করা থেকে বিরত থাকতে বলি এরপর তিনি আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয় কয়েক দিন পরে জানতে পারি অন্য লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দিয়েছে। তার মামলা থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকও আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সাংবাদিক মাসুদ রানা। অরুণ শীলকে দিবালোকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখে ছবি তোলার চেষ্টা করলে তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় । স্থানীয় এক ব্যক্তির হস্তক্ষেপে ক্যামেরা ফেরত পায় এবং কয়েকদিন পরে অন্য লোকের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করে। দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর জাওহার ইকবাল খান বলেন অরুন শীল ও তারপুত্র অঞ্জন সিল আমাদের অনেক জমি জবর দখল করে আছে জমি ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেয় এমনকি তার বাহিনী নিয়ে দেশি অস্ত্রসহ ধাওয়া করে এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি ডায়েরি করা আছে। সাংবাদিকদের একটি অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এর উপস্থিতিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে যে তারিখে আমি একটি প্রোগ্রামে সঞ্চালনা করেছিলাম সে সময় আমার বিরুদ্ধে দিপু শীলকে দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা করায় যা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। এমনকি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে। তার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পায়নি তার নিজ বাড়ির হিন্দু পরিবারের দিলীপ চন্দ্র শীলও পারিবারিক ঝামেলার জের ধরে দিপু শীলকে দিয়ে লুট ও চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে যা পুলিশ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

 

মানববন্ধন পন্ড করার জন্য দীপু শীল চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পাশাপাশি রয়েছে মাদক ব্যবসায় সক্রিয়। গ্রামটির দুই জেলার বর্ডারে হওয়ায় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে সম্পৃক্ত। এই চক্রের কয়েক জন গ্রেফতারও হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি শীল বাহিনীকে দমন করতে না পারলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা চলতে থাকবে এতে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অনেকের ধারণা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানী বন্ধ না হলে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তাই সিল বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার দ্রুত কার্যকর করা সময়ের দাবি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..