মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! নাগেশ্বরীতে প্রাণী সম্পদ অফিসে টেকনিসিয়ান নিয়োগে অনিয়ম এডিসের লার্ভা পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি : পরিবেশমন্ত্রী কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে ৫টি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমীরকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হয় ঢাকা বিমানবন্দরে

মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিক অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬০২১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে ভারত। বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে এ ঘটনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর এ মন্তব্য করেন।

বৈঠক শেষে ভারতীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ‘তারা আমাদের বলেছে যে, ভারত সেখানে (রাখাইন রাজ্য) সৃষ্ট অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে।’

বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার ইস্যুতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যাহত হবে কি না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই সেই আশঙ্কা রয়েছে।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করার প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এই সফরের ফলে গত এক বছরে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে শুরু হওয়া চক্রটি শেষ হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়াতে তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে এমন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ লক্ষ্যে এই অঞ্চলে আরও ভালো যোগাযোগের জন্য বিবিআইএন-এর মতো উদ্যোগকে বেগবান করতে হবে। নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর সড়ক, বিমান ও রেল যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। গ্রিড কানেক্টিভিটি বাংলাদেশকে নেপাল, ভুটান এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে এক অংশ থেকে অন্য অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে।

আলোচনাকালে পানি বণ্টনের বিষয়টিও উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল এ লক্ষ্যে মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেছেন; যা বিশ্বে একটি সংকট তৈরি করেছে। উভয় নেতা সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

যুদ্ধের পটভূমিতে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্মত শর্তাবলীর ভিত্তিতে জ্বালানি উদ্বৃত্ত থাকলে বাংলাদেশ ভারত থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে পারে। তারা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন, পানি ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও সম্প্রচার, রেলওয়ে এবং বিএসআরআই-এর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে খসড়া চূড়ান্ত করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য আরও অনেক ইস্যুর পাশাপাশি তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শিগগিরই গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..