শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোলার চরাঞ্চলের গাছে গাছে ঝুলছে হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা ॥

সাব্বির আলম বাবু (নিজস্ব প্রতিবেদক):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩
  • ৫৮০১ বার পঠিত

ভোলার চরাঞ্চলের গাছে গাছে ঝুলছে হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা। ঝিঙ্গার ফলন ও বাজার দাম পেয়ে ব্যাপক খুশি কৃষক। আর এ সব ফসল ভোলা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে অন্যান্য জেলায় । ভালো দাম পেয়ে কৃষকরাও খুব খুশি। ঝিঙ্গা এখন কৃষকদের কাছে অতি লাভ জনক ফসল। তরকারী হিসেবে ঝিঙ্গা একটি সু স্বাধু শবজি।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরের কৃষক হাফিজ চৌকিদার। চরের জমি লগ্নি নিয়েই তার কৃষিকাজ। গত দুই বছর ধরে সখের বসে ঝিঙ্গা চাষ করে আসছেন মাত্র ৫শতাংশ জমিতে। প্রথমদিকে ভালো ফলন দেখে পরবর্তিতে ১০ এবং এ বছর ২০ শতক জমিতে জিঙ্গা চাষ করেন। গেলো কার্তিক মাসে জমি চাষ দিয়ে ২০ শতক জমিতে ছয়শত ঝার তৈরী করেন। প্রতিটি ঝাড়ে তিনটি করে হাইব্রিড মেটাল সিটের ইউরেকা জতের বীজ বপন করেন। মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। সর্বপোরি তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

ইতেমধ্যে তিনি বিক্রি করেছেন ৫০ হাজার টাকা। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। খেতে এখনও রয়েছে সারি সারি জিঙ্গে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এখনও যে ফসল রয়েছে তা লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশবাদি। আর এগুলো চলে যায় কিছু অংশ ভোলার বাজারে আর বাকিগুলো চলে যায় খুলনা, ঢাকা ও যশোর। চর থেকে নদী পথে গিয়ে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র পরিবহনও সহজ বলে জানান তিনি। তার এখানে ৪/৫ জন লোক কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করে আসছে। ঐ চরে আরো কয়েকজন এ চাষে জুকেছে তার দেখাদেখি তারাও ফলন পেয়েছেন ভালো। ঝিঙ্গে চাষে পরিশ্রম একটু বেশি হলেও ভালো ফলন, চাহিদা বেশি ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি। ঐ চরের কৃষক মোঃ ইসমাইল, মোঃ লোকমান জানান, তারা হাফিজ চৌকিদারের জমিতে কাজ করেন। তবে আগমীতে নিজেরাই ঝিঙ্গে করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মেটাল এগ্রো লিমিেিটডের মার্কেটিং অফিসার জানান, তারা প্রথমে কৃষকদের সাথে বিভিন্ন সভা ও সমাবেশ করে এ জাতের বীজ চাষ করতে আগ্রহী করেছেন। ফলে এবার চরে ভালো ফলন হয়েছে। ঝিঙ্গার সাইজ, কালার ও বাজার দাম খুবই ভালো।

ইলিশা জংশনের মেটাল সিটের পরিবেশক মোঃ আবদুর রব দুলাল মিজি জানান, তাদের পরামর্শে এখন ভোলায় তাদের ২০ কেজি মেটাল ইউরেকা ঝিঙ্গা বিজ এর মার্কেট রয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন দেখে এ জাতের ঝিঙ্গা চাষ করতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, ভোলায় এ বছর ৩২৫ হেক্টর জমিতে জিঙ্গা আবাদ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১৮ মেট্রিক টন ফলন আসছে। কৃষি বিভাগ তাদের উপ সহকারীদের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। এ ধার অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ঝিঙ্গা কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..