রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হত্যা মামলায় শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে : পিটিআইকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলের সাথে এ কেমন শত্রুতা ? ৭দফা দাবিতে তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘ভূমিহীন’ থেকে ১৫ বছরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয়ে অভিনন্দন তথ্য উপদেষ্টার বিএসএফের গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে ভারতকে আহমদ শফী আশরাফী’র নিন্দা বামনায় সাংবাদিকদের সাথে ” আলোকিত সমাজ”র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিন যেতে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : মন্ত্রণালয় ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

আদালতে মিথ্যা মামলা করেই বাঙ্গরায় রাতারাতি জমি দখল

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮৩৭ বার পঠিত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হাটবলীবাড়ী গ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীর নামে চাদাঁবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে এই জায়গাটি রাতারাতি ভরাট শেষে দখল করে নেয় একটি প্রভাবশালী মহল।

আদালতে ৭জন নিরীহ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা চাদাঁবাজি মামলা করে রাতারাতি জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নাজির হোসেন নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হাটবলীবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাটবলীবাড়ী গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবীর ভুইয়ার স্ত্রী বিলকিছ বেগমের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে একই গ্রামের মৃত মঙ্গল সরকারের ছেলে নাজির হোসেনের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উক্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে নাজির হোসেন কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে একটি চাদাঁবাজি মামলা করেন (যার নং পি-আর ৩৯৩/২০২৩)। উক্ত মামলায় বিলকিছ বেগমের ছেলে সালাম ভুইয়াসহ ৭জন নিরীহ গ্রামবাসীকে আসামী করা হয়। আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বাঙ্গরা বাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এ মামলার ভয় দেখিয়ে আসামীদের ১২ শতক জমি রাতারাতি দখল করে নেয় প্রভাবশালী নাজির হোসেন। ওই জমিতে মাটি ভরাট করে ঘরও তুলেছেন। খবর পেয়ে আসামীগন দিশেহারা হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে জমিটির দখল ফিরে পাবার আশায় বিলকিছ বেগম আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গার দ্বন্দ্বের পর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নাজির হোসেন কোন প্রকার কর্ণপাত করছে না। রাতদিন ওই জায়গায় কাজ করেই যাচ্ছেন।

হাটবলীবাড়ী গ্রামের আবদুল মালেক মাস্টার, হাজী আবু তাহের, নাজির হোসেন মাস্টার, হাজী নজরুল ইসলাম ও শেখ মুজিবুর রহমান মাস্টার বলেন, যাদের নামে চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হয়েছে, তারা এ এলাকার নিরীহ কৃষক। তাদের দ্বারা এ জগন্যতম কাজ করা মোটেও সম্ভব নয়। ঘটনাটি এলাকার কেউ শুনলেই চমকে ওঠে। মূলত জমিটি দখল করার জন্যই ওই মামলাটি সাজানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামীগণ বাদী নাজির হোসেনের কাছে দিন-দুপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামীগণ বাদীর পরিবারের লোকজনকে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাজির হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলা করার পর থেকেই বাদী নাজির হোসেন লাপাত্তা। বার বার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাক্ষী প্রমান নিয়ে থানায় আসার জন্য বলা হলেও সে কর্নপাত করছে না। এ বিষয়ে সহসাই আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..