সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, পটুয়াখালী-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান আহমেদ মৃধা

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮৫৫ বার পঠিত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনের নৌকার  মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে জোরালোভাবে মাঠে রয়েছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের  সহ-সভাপতি, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান  বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড: সুলতান আহমেদ মৃধা।
জন-দরদী এই রাজনৈতিক ব্যক্তি তার রাজনৈতিক জীবনের প্রতি পদে পদেই পেয়েছেন অসংখ্য বাধা। এরপরও দুর্বার এই আওয়ামীলীগেরকে দাবিয়ে রাখতে পারিনি কেহই। এরপরও পেয়েছেন সকল শ্রেনীর মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
পটুয়াখালী ১ আসনের সাধারন মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধাকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান।  বর্ণাঢ্য তার আওয়ামী  রাজনৈতিক জীবন শিশু থেকে বৃদ্ধ পটুয়াখালীর সকলেরই জানা।
দলের সকল পর্যায়ের নেতা ও কর্মীদের কাছে সুলতান আহমেদ মৃধা একজন সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, বিচক্ষন, ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে পরিচিত। বিগত দিনের বিভিন্ন নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ভোটের রাজনীতিতে পটুয়াখালীতে অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছেন এ্যাড. সুলতান আহমেদ মৃধা। জেলায় তাকে সবাই জনবান্ধব নেতা হিসেবে চেনেন। সকলের সাথে সদালাপি এবং সুখে দুঃখে সব সময় সকলের পাশে থাকেন। যে কোন সময় দলীয় নেতা কর্মীরা ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন এবং খোজ খবর রাখেন। হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত জনবান্ধব ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং সমাজসেবক হিসাবেই পরিচিত পটুয়াখালী সর্ব অঙ্গনে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিচিত সুলতান আহমেদ মৃধা শিক্ষা জীবন থেকে সম্পৃক্ত হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে । ১৯৬৬ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের সাথে রাাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে জীবন বাজী রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সনে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তারপর ১৯৯৪ সন থেকে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগে অন্তর্ভূক্তি হয়ে আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উপর অটল থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুলতান আহমেদ মৃধা ১৯৭০ সনে যশোর বোর্ডের অধীন পটুয়াখালী লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী থেকে এস,এস,সি পাশ, ১৯৭২ সনে যশোর বোর্ডের অধীনে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাশ, ১৯৭৪ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ থেকে বি,এ পাশ করেন। ১৯৭৬ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (হাজী মোহাম্মদ মহসীন হল) থেকে এম, এ পরীক্ষায় পাশ এবং ১৯৭৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সেন্ট্রাল ‘ল’ কলেজ, ঢাকা) থেকে ‘ল’ পাশ করেন।
সুলতান আহমেদ মৃধা বর্তমানে সক্রিয় ও নিবেদিত হয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিনিয়ত দলীয় ও সরকারী কর্মসূতিতে রয়েছে তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি। তার রাজনৈতিক জীবনে সফলতা ও সচ্ছতার সাথে ১৯৯৩ সন থেকে ১৯৯৯ সন পর্যন্ত পটুয়াখালী পৌরসভা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব এবং ২০০৯ সন থেকে ২০১৪ সন পর্যন্ত পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষায় অবদানের জন্য ২০১২ সালে জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনেই ১০ম জাতীয় সংসদে তার স্ত্রী মিসেস লুৎফুন নেছাকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দলের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি কোন কার্যকলাপে কখনো যুক্ত হননি।
১৯৯৩ সন থেকে ১৯৯৯ সন পর্যন্ত সময়ে বরিশাল বিভাগে ৬জন চেয়ারম্যানের মধ্যে ৫জন ছিল বিএনপি থেকে নির্বাচিত। একমাত্র সুলতান আহমেদ মৃধা আওয়ামীলীগ থেকে ব্যাপক ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারণে ১৯৯৫ সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় বিএনপি সরকার তাকে করারুদ্ধ করে রেখেছিল। এছাড়াও ২০০১ সালে আলতাফ চৌধুরীর সময় মামলা দিয়ে ২মাস ১৪ দিন হাজতবাস করেছেন।
সুলতান আহমেদ মৃধার পটুয়াখালীর সামাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে রয়েছে গুরুত্বপূর্ন অবদান। প্রতিষ্ঠা করেছেন হাজী হামেজ উদ্দিন মৃধা ডিগ্রি কলেজ। এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন লোহালিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, পটুয়াখালী টাউন উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ মাহমুদুর রহমান পলাশ বৃত্তি প্রদান ফাউন্ডেশন, হোসাইনিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও চন্দনবাড়ীয়া জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব এবং কার্যকরি কমিটির সদস্য হিসেবে আব্দুল করিম মৃধা কলেজ, উপদেষ্টা হিসেবে থেকে টাউন জৈনকাঠী জৈনপুরী হুজুরের খানকায়ে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও পুরান বাজার জামে মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের উন্নয়নে অবর্ননীয় ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের পটুয়াখালীর সদস্য, ১৯৯৪ সন থেকে সুইড বাংলাদেশ পটুয়াখালী শাখার সভাপতি, ১৯৯১ সন থেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য, আজীবন সদস্য হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজি: গ্রাজুয়েট সদস্য। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি পটুয়াখালী ইউনিটের ভাইস-চেয়ারম্যান, পটুয়াখালী ডায়েবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সভাপতি, পটুয়াখালী বি,এন,এস,বি চক্ষু হাসপাতাল ও পরিবার পরিকল্পনা সমিতির আজীবন সদস্য। পটুয়াখালী জেলা আইনজীবি সমিতি, আয়কর আইনজীবি সমিতি ও পটুয়াখালী ক্লাবের সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। পটুয়াখালী শেরে-ই-বাংলা বালিকা বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য।২০১৫ সন থেকে সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হিসেবেও কাজ করছেন।
স্থানীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমের বিকাশে রয়েছে তার অবদান। নিজে প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা করেন দৈনিক পটুয়াখালী পত্রিকা, রয়েছেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে। ব্যবসা বানিজ্য এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্ঠিতে ভূমিকা রেখেছেন। দি পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বর্ণাট্য তার  রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে ভবিষ্যতে তিনি স্বপ্ন দেখেন জনগণের খেদমত করার। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পটুয়াখালীকে পৌঁছে দিতে চান বিশ্বের দরবারে। তার আগামী দিনের প্রত্যাশা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে লালন পালন ও ধারণ করে পটুয়াখালী -১ আসনে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালীতে রূপান্তরিত করতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।তার ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় জনগণের মাঝে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধা তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন ,  বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে লালন করে ছাত্র জীবন থেকে আমি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে আছি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া এক মুজিব সৈনিক। আগামী দিনে পটুয়াখালীকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের টুকরো তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্য আমাকে নৌকার  মনোনীত প্রার্থী করলে এবং সাংসদ নির্বাচিত হলে আমি বাকি জীবন টুকু আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকিব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..