শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে তীব্র দাবদাহে ইসলামী যুব আন্দোলনের হাতপাখা বিতরণ দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে : বিচারপতি নিজামুল হক গলাচিপা ও দশমিনায় প্রকাশ্যে নিধন হচ্ছে রেনু পোনা,কথা বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ ডিএসইসির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ বেলা অবেলা : স্বপ্না রহমান ডিএসইসি’র নতুন সভাপতি ডিবিসি’র মুক্তাদির অনিক ডিএসইসি’র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের আলো’র জাওহার ইকবাল খান ডিএসইসি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক উত্তরদক্ষিণে’র শহীদ রানা

মাধবপুর নিশিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে ব্যার্থ জেলা শিক্ষা অফিসার

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৮১৯ বার পঠিত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাধবপুর নিশিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় মার্কস বেশি দেয়ার কথা বলে জোরপূর্বক টাকা আদায়কারী প্রধান শিক্ষক মিলন মিয়া, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল সুপার জাহাঙ্গীর ও সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন, বঙ্কিম চন্দ্র সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ২ মাস অতিবাহিত করে ব্যবস্থা গ্রহনে ব্যার্থ জেলা শিক্ষা অফিসার।এর আগে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় বেশি মার্কস দেওয়ার কথা বলে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উঠানোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনোরকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি জেলা শিক্ষা অফিস।

ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে একাধিকবার জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার মো: মুজিবুর রহমান তার দায় সারা বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ জুন ২০২৩ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ‘‘মার্কস বেশি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে’’ সংবাদটি তাহার নজরে আসে। পরে মাধবপুর নিশিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন মিয়াকে ডেকে পরবর্তী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে একটি রিপোর্ট দিতে বলেন।কিছুদিন পর প্রধান শিক্ষক মিলন মিয়া একটি রিপোর্ট নিয়ে আসলে রিপোর্টটি সঠিক বা সন্তোষজনক না হওয়ায় রিসিভ না করে তাকে পুনরায় ৩ কার্যদিবসের সময় দিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে তিনি কোনো রিপোর্ট জমা দেননি বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সকল ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটির কাছে। তারা ব্যবস্থা না নিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো ব্যতীত কিছু করার নেই। এই অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জু মিয়ার মুঠোফোনে কল করে ‘অভিযোগের তদন্ত পূর্বক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা’ জানতে চাইলে অসুস্থতার কথা বলে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মরিয়ম বেগম জানান, এর আগে এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আপনার নিউজের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম । অতিসত্বর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।

প্রসঙ্গত, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রটি উপজেলার নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং উপজেলার মাধবপুর নিশিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এ সময় লিখিতেছিল। আর টাকা উঠানো ওই শিক্ষকরা হলেন- একই উপজেলার মাধবপুর নিশিকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র আর পরীক্ষার হল সুপার ছিলেন নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এনিয়ে টাকা উত্তোলন করা ঐ দুই শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক মিলন মিয়ার কথায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে হল সুপারকে দিয়েছি। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক মিলন মিয়া ও হল সুপার জাহাঙ্গীর আলম অস্বীকার করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..