পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পটুয়াখালী -১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে থামিয়ে লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার কে সমার্থন দেয়। ৭ই জানুয়ারী সকলকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে পটুয়াখালী-১ আসনে।
প্রচারনার পরিকল্পনা অনুযায়ী (শুক্রবার) ২২শে ডিসেম্বর বেলা ৩টায় রুহুল আমিন হাওলাদার তার শহরের বাসভবন থেকে কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের শৈশবের স্মৃতি বিজরিত একটি বাড়িতে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে পথসভা করে। শুরুতেই লোহালিয়া সেতু পার হলেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও লোহালিয়ার বাসিন্দা জুয়েল মৃধার নেতৃত্বে স্থানীয় লাঙ্গল কর্মীরা প্রার্থীকে ফুল দিয়ে বরন করে স্বাগত জানায়। এ ছাড়াও কমলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদার এর নেতৃত্বে একদল লাঙ্গল কর্মী তাকে স্বাগত জানায়।
গন্তব্যে পৌঁছে রুহুল আমিন হাওলাদার তার স্মৃতি বিজড়িত স্থানের মরহুম মুরুব্বীদের কবরে দোয়া মোনাজাত করেন। তাকে স্বাগত জানাতে ধরান্দী গ্রামের অসংখ্য মানুষ জরো হয়।
গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন ১৯৭০ সালে প্রথম আমি এই বাড়িতে অবস্থান নেই। এখান থেকেই আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। বহু বছর পর আমি এই বাড়িতে এসেছি। পূর্বেও এই বাড়িতে আসার ইচ্ছা ছিল। তখন না আসতে পারলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় লাঙ্গল মার্কার প্রতীক নিয়ে আমি আপনাদের বাড়িতে এসেছি। লাঙ্গল প্রতীক নিয়েই জয়যুক্ত হয়ে যেন সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। আপনারা দোয়া করবেন।