মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

ভোলায় হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬০৫২ বার পঠিত

নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে ভোলায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুররায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভোলা মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপর মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আব্বাস উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় আজকের দ্বীপ জেলা ভোলা। সেদিন সকালে পাক বাহিনী ভোলা লঞ্চঘাট হয়ে কার্গো লঞ্চ যোগে পালিয়ে যায়। সকালে এ খবর পেয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ ভোলার রাজপথে নেমে আসে। ‘জয় বাংলা’ ‘তোমার নেতা, আমার নেতা’ শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখোরিত করে চারপাশ। বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠে সবাই। ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। পাকিস্তানী হানাদারেরা নিশ্চিত পরাজয় টের পেয়ে পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। ১০ ডিসেম্বর তাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা। এসময় তারা গুলি বর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাকিস্তানী হানাদেরদের সকল সদস্য নিহত হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..