সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি কমিশনার নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি যে কোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে : সিইসি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের জি’আন শহরে লকডাউন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬০৬৫ বার পঠিত

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের মধ্যাঞ্চলীয় সানজি প্রদেশের রাজধানী জি’আন শহরে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর থেকে সেখানে ১৪৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে কতদিন লকডাউন চলবে, তা জানানো হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করোনার ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে, ওমিক্রনের কথা বলা হয়নি। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের চলতি সপ্তাহের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্বৈত মহামারি’র সম্মুখীন হয়েছে জি’আন। বেশকিছু লোক হেমোর‍্যাজিক ফিভারে আক্রান্ত হয়েছেন। উচ্চ মৃত্যুহার সংবলিত ভাইরাসজনিত রোগটি প্রাকৃতিক মহামারি হিসেবে পরিচিত। উত্তর চীনে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটি সাধারণ একটি মৌসুমি রোগ হিসেবে দেখা দেয়। গতকাল বুধবার ঘোষিত কড়াকড়ির নির্দেশনায় সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়। প্রত্যেক বাড়ি থেকে দুই দিনে একবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য একজন লোক বাড়ির বাইরে যেতে পারবে।

গণহারে নমুনা পরীক্ষা এবং লকডাউনের মাধ্যমে চীন জিরো-কোভিড নীতি চালু রেখেছে। ২০২২ সালে দেশটিতে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসবে। এ কারণে এখনকার করোনা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক তৎপর চীন সরকার। শহরটির স্থাপত্যশৈলীর কারণে লোকজনকে টেরাকোটা যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। লকডাউন চলাকালে একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ শহরের বাইরেও যেতে পারবে না।

জি’আন বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা এমন বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুরপাল্লার বাস স্টেশনগুলো। এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া ব্যক্তিগত গাড়ি তল্লাশিতে জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপয়েন্ট। নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়—এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং স্থানীয় সরকারের কর্মীদের ঘরে থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া গত সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকেই পানশালা, ব্যয়ামাগার এবং সিনেমা হলগুলো বন্ধ রয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়া দেশ চীনে এ পর্যন্ত এক লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং চার হাজার ৮৪৯ জন মারা গেছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..