বরগুনার হাফেজ তুহিন, স্ত্রী ও তাদের আদরের কলিজার টুকরা তাবাসসুম তুবাকে নিয়ে বরগুনার উদ্দশ্যে যাচ্ছিলেন বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ এ।
রাত তিনটার দিকে লঞ্চটি ঝালকাঠির দিয়াকুল এলাকায় আসা মাত্রই আগুন ধরলে আগুন দেখে তাদের এক মাত্র মেয়ে তাবাসসুম তুবা তার বাবা-মাকে বলছিলো বাবা পানিতে লাফ দাও! বাচার জন্য মেয়ের কথামতো তিন জন একসাথে লাফ দিলো নদীতে প্রথমে তুবা বাবার হাত থেকে ছুটে গেলেও আবার খুজে পায়, কিন্তু নিয়তীর নির্মম পরিহাস! কিছুক্ষন পরে তুবাকে আর তার বাবা ধরে রাখতে পারলোনা। নিজেকে বাচাঁতে বাবা তার একমাত্র আদরের কলিজার টুকরা মেয়ে তুবাকে ছেড়ে দিলো! বাবা মা বেচেঁ গেলেও তুবাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলোনা। তুবাকে না পয়ে বাবা-মা এখন দিশেহারা। এরকম আরো কতো ঘটনা যে রয়েছে হয়তো কারোরটা প্রকাশ পাবে কারোরটা পাবে না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।