তুরস্কের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবে দেশটি। শনিবার রাতে সচিবালয়ে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোলুর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সই হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল, কাউন্টার টেররিজম (সন্ত্রাস দমন), সিকিউরিটি কো-অপারেশন (নিরাপত্তা সহযোগিতা) ও মাদক চোরাচালান রোধ। এগুলো নিয়েই এমওইউ সই হয়ছে। এটি সইয়ের পর তারা তাদের সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে সেদেশের মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন। এই ছিল আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তাদের (তুরস্ক) আগেও যেমন ভূমিকা ছিল, এখনো তাদের তেমন শক্ত ভূমিকা রয়েছে। মন্ত্রী আমাদের নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য হাসপাতাল স্থাপন করেছেন, তারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক, প্রধানমন্ত্রী তাদের থাকার জায়গা দিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এ বিষয়ে যা করণীয়, তা করবেন।
তুরস্কের পক্ষ থেকে ভাসানচরে লোক পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা কাল ভাসানচরে লোক পাঠাবেন। সেখানে তারা কী করতে পারেন, সেটা অ্যাসেস করে তারা সহযোগিতা করবেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তুরস্ক আন্তরিক বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।