প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ সংসদে বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা প্রকাশকারীদের সব ভুল ধারণা দূর করে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ বুধবার তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে নৈরাশ্যবাদীদের সব ভ্রান্ত ধারণাকে অমূলক প্রমাণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পর তাঁর সরকার বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার প্রেফারেন্সিয়াল মার্কেট অ্যাক্সেস অ্যান্ড ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ে কৌশলপত্র এবং সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ।
এ লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি দেশ ও তিনটি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, চীন, মালয়েশিয়া এবং আশিয়ান অর্থনৈতিক জোট, মার্কোসর জোট ও ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক জোট। এ ছাড়া তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল,নাইজেরিয়া, সিয়েরালিওন, কেনিয়া ও জিসিসিভুক্ত দেশের সাথে পিটিএ/এফটিএ/সেপা নেগাশিয়েশন কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পাশাপাশি ডব্লিওটিওতে উত্তরণকারি দেশগুলোর জন্য যাতে বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম), বিশেষ করে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও বিভিন্ন ডব্লিওটিও থেকে অব্যাহতি সুবিধা, বেশ কয়েক বছরের জন্য উত্তরণের পরও অব্যাহত থাকে সেজন্য বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপ এর মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন।