বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে আরও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সুবিধার্থে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ। পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি নিতে ঢাকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ টেলিফোনে এ বিষয়ে আলাপ করেন। এ সময় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানান ড. মোমেন। একইসঙ্গে দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বর্তমান অবস্থান নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আলাপকালে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে সম্মত হয়েছেন। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা ও মালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করে সম্পর্ক কৌশলগত স্তরে উন্নীত করার ওপর জোর দেন।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রশংসা করেন। তিনি দেশটির অর্থনীতির সব খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।
মোমেন নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের মাধ্যমে আরও কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা জানান। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের আইসিটি কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
ড. মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার সমর্থনের প্রশংসা করে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে দেশটির অব্যাহত সমর্থন চান। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন সাইফুদ্দিন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল মানবিক পদক্ষেপের জন্য সমগ্র বিশ্ব তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক ফোরামে বাংলাদেশি প্রার্থীতার পক্ষে মালয়েশিয়ার সমর্থন চান। বিশেষ করে, মোমেন আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপে বাংলাদেশের প্রার্থীতার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়ে অনুরোধ করেন।
টেলিফোন আলাপে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গতিশীল ও নতুন দিক নির্দেশনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন। ড. মোমেন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাইফুদ্দিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।