নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভয়ঙ্কর পরিণতির হুমকি দিচ্ছে! বিএনপি নেতাদের এই ফাঁকা আওয়াজ মিথ্যাবাদী রাখাল ও বাঘের শিশুতোষ গল্পের কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলার জনগণ তাদের দূরভিসন্ধিমূলক ফাঁকা আওয়াজে বিভ্রান্ত হয় না এবং কোনদিন হবেও না। সরকার পতনের চক্রান্ত বাস্তবায়নে তারা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশবিরোধী ও জনগণের স্বার্থপরিপন্থী নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় এদেশের জনগণ তাদেরকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা প্রায় এক দশক যাবত তথাকথিত গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করার নামে সরকার পতনের কথা বলে আসছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভয়ঙ্কর পরিণতির হুমকি দিচ্ছে! বিএনপি নেতাদের এই ফাঁকা আওয়াজ মিথ্যাবাদী রাখাল ও বাঘের শিশুতোষ গল্পের কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলার জনগণ তাদের দূরভিসন্ধিমূলক ফাঁকা আওয়াজে বিভ্রান্ত হয় না এবং কোনদিন হবেও না। সরকার পতনের চক্রান্ত বাস্তবায়নে তারা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশবিরোধী ও জনগণের স্বার্থপরিপন্থী নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় এদেশের জনগণ তাদেরকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বৈরশাসন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলে প্রশাসনের সর্বস্তরে ও আর্থ-সামাজিক সকল খাতে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, জিয়া পরিবারের বিদেশে অর্থ পাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎ, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হত্যা-ক্যু-ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ও অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণ ব্যালটে রায়ের মাধ্যমে বার বার নিরব অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা বলছে! আমরা আগেই বলেছি, দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে বিশ্বের অপরাপর দেশের সাথে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হওয়া, বেশ কিছু আমদানিনির্ভর দ্রব্যের সংশ্লিষ্ট দেশে উৎপাদন কম হওয়া এবং করোনার অভিঘাত কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নানা টানাপোড়েন ও নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। অন্যান্য দেশের মতো যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। সেই সাথে রয়েছে অসাধু মহলের ষড়যন্ত্র- মুনাফালোভী মজুতদারগোষ্ঠীর অপতৎপরতা। দেশবাসী ভুলে যায়নি, অতীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ভয়াবহ পরিস্থিতির স্মৃতি। উত্তরবঙ্গে মঙ্গায় না খেয়ে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার দুর্বিষহ কষ্টের কথা। তাদের শাসনামলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছিল। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিএনপির সেই চরম ব্যর্থতার লজ্জাজনক অধ্যায় দেশবাসীর স্মৃতির মানসপট থেকে মুছে যায়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তির উৎস। বর্তমান সরকার জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিয়েই বর্তমান সরকারের সকল পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে আমদানি পর্যায়ে তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোজ্য তেলের বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং কেউ অতিরিক্ত দাম রাখলে ১৬১২১ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অসাধু মুনাফাখোর মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে- হাজার হাজার টন ভোজ্যতেল উদ্ধার হচ্ছে। আমরা আশা করি, বাজারের এই সঙ্কট থাকবে না এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দ্রব্যমূল্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো। আমরা বিএনপিকে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচার থেকে বিরত থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।