শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ ডিএসইসি’র সভাপতি অনিক সম্পাদক জাওহার ইকবাল মির্জাগঞ্জে কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে যুবক ফিরলো লাশ হয়ে আকাশ: কবি মাহফুজ রকি মির্জাগঞ্জে প্রাইমারি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত শান্তা মনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উপজেলা নির্বাচন: হরিরামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে দেওয়ান সাইদুর মির্জাগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কেড়ে নেওয়া হলো মার্কিন নারীদের গর্ভপাতের অধিকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২
  • ৫৯১৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বছর আগে এক মামলায় যে রায়ে গর্ভপাতকে বৈধ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট তা পাল্টে দেয়ার চিন্তা করছে—এমন এক নথি কয়েক সপ্তাহ আগে ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশটিতে।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ দশক আগেকার ‘রো বনাম ওয়েড’ নামে পরিচিত মামলার সেই যুগান্তকারী রায় সত্যিই পাল্টে দিল। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আদালত গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দিয়ে গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষমতা প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিসিসিপির রাজ্য সরকার গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট; ফলে মার্কিন নারীরা ১৯৭৩ সাল থেকে গর্ভপাতের যে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে আসছিলেন, তা কার্যত রোহিত হয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘১৯৭৩ সালের আইনে গর্ভধারণের পর ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহ সময়কালেও গর্ভপাত করার এখতিয়ার রাখা হয়েছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, মার্কিন সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।

‘গর্ভপাতের অধিকার সংবিধানের আওতায় থাকতে পারেনা … এবং গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণের অধিকার অবশ্যই মানুষের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিৎ।’

এক প্রতিবেদেন বিবিসি জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে এখন রক্ষণশীল বিচারকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার রোহিত করার পক্ষে মতামত দেন ছয়জন বিচারক, বিপক্ষে দেন তিনজন।

ধারণা করা হচ্ছে এই রায়ের পর অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ অথবা এটির ওপর নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাৎক্ষণকভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে— ইতোমধ্যে এমন আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্য।

এ বিষয়ক এক বেসারকারি জরিপে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানধারণে সক্ষম তিন কোটি ৬০ লাখ নারী গর্ভপাতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।

অবশ্য দেশটির দক্ষিণপন্থী ও ধর্মীয় রক্ষণশীলদের জন্যে এই সিদ্ধান্ত অনেক বড় বিজয়। এই ঘরানার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী ১৯৭৩ সালে গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ও দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।

অন্যদিকে দেশটির সরকারি দল ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন এ সিদ্ধান্তের। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সুপ্রিম কোর্টের এ রায়কে মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের (প্রতিনিধি পরিষদ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে ‘নির্মম’ উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মার্কিন নারীরা এখন তাদের মায়েদের চেয়ে কম স্বাধীনতা ভোগ করছে।”

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার সংগঠন দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এক টুইটে বলেছে, ‘আদালত কি বলেছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ কাউকেই তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাচ্চা নিতে বাধ্য করা উচিত নয়… গর্ভপাত নারীদের অধিকার; এবং এই অধিকার আদায়ের জন্য আমরা এর জন্য লড়াই বন্ধ করব না।’

সূত্র: বিবিসি

এসএমডব্লিউ

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..