রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

কুয়াকাটায় ২৬ ট্রলারে ডাকাতি,আতঙ্কে সমুদ্রগামী জেলেরা

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (জলা প্রতিনিধি,পটুয়াখালী): 
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২
  • ৬১০৪ বার পঠিত

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (জলা প্রতিনিধি,পটুয়াখালী): 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গেলে এরই মধ্যে ২৬ টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে এবং এফ বি ভাই ভাই নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ১১ জন জেলে সহ ডুবিয়ে দিয়ে জেলেদের নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে সোনারচর সংলগ্ন ছয়বাম (৬০ নটিক্যাল মাইল) নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ রাজা বলেন, গভীর সাগরে ডাকাতদল ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাঙ্গাবালির চরমোন্তাজের ২টি, মহিপুরের ৩টি ও বিভিন্ন এলাকার ২১ টি ট্রলার ডাকাতির কবলে পড়ে।

এদিকে, লুটপাট শেষে ডুবিয়ে দেয়া ট্রলারের ২ জেলেকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরেছে মা বাবার দোয়া নামের অপর একটি মাছ ধরা ট্রলার। বাকি ১০ জেলের সন্ধ্যান এখনও মেলেনি। ভাই ভাই ট্রলারের মাঝি জিয়া বলেন, কোনো রকমের জানডা হাতে লইয়া সাগরে ঝাপ দিছি। কোনোমতে জানটা নিয়ে ফেরত এসেছি।

ভাই ভাই ট্রলারের জেলে ছালাম বলেন, ২২ থেকে ২৩ সদস্যের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ট্রলারের মাছসহ সকল মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের ট্রলারটি ডুবিয়ে দিয়ে যায়। এ সময় তারা আরো বেশ কয়েকটি ট্রলারে ডাকাতি করে। পরে মা বাবার দোয়া নামের ট্রলারটি আমাদের উদ্ধার করে। কিন্তু এর আগে ডাকাতরা ওই ট্রলারেরও সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এফবি মা বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়া বলেন, আমার ট্রলারে ১৫ জন স্টাফ ছিল। ডাকাত দল সবাইকে মারধর করেছে। সব মালামাল নিয়ে গেছে।

নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, এ ঘটনা আমরা আপনাদের সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে শুনেছি। ইতোমধ্যে কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..