বরগুনার বেতাগীতে বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি চাল অন্যান্য বিভিন্ন কোম্পানির বস্তায় প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছিলো একটি চক্র। যার নেপথ্যে প্রধান হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে তিনি হলেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাব-সার্জেন্ট ও বেতাগী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মনির হোসেন লাভলু। এমন সংবাদের পর বিভিন্নভাবে প্রমান জোগাতে অনুসন্ধান চলমান থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকাল ৪ টায় গোপন সংবাদ আসে বেতাগী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মনির হোসেন লাভলুর পৌরশহরের নিজ বাসার একটি বদ্ধ ঘরের মধ্যে বিভিন্ন নামীদামী ব্র্যান্ডের বস্তায় প্যাকেটজাত হচ্ছে সরকারি চাল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধারণ করা হয় সেই অভিনব প্রতারণার ভিডিও।পরে বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসক সহ বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনলে শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ অভিযান।
বিকাল ৫টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকস্মিক সেখানে গিয়ে ২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে সরকারি চালের বস্তা থেকে ব্র্যান্ডিং বস্তায় চাল প্যাকেটজাত করার প্রক্রিয়ার সত্যতা পান। এ সময়ে ওই ডিলার লাভলুর মজুদকরা ৩ টনের অধিক (৩ হাজার ২৭৫ কেজি) চাল যা ৮৯টি বস্তাভর্তি ছিলো তা জব্দ করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুহৃদ সালেহীন।
তবে ওই ব্যবসায়ী লাভলুর দাবী তিনি স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দের কাছ থেকে টিআর,কাবিখার চাল ক্রয় করেছেন। তবে প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী ওই চাল ওএমএস কর্মসূচির।
ভ্রাম্যমাণ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সুহৃদ সালেহীন বলেন, জব্দকরা চাল সরকারি এতে সন্দেহ নেই। সরকারি চাল মজুদকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। এ ঘটনায় রেগুলার মামলা প্রক্রিয়াধীন ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..