রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে : মৎস্য উপদেষ্টা কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে : তারেক রহমান কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মুরাদনগরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা কিশোরগঞ্জে ’দুর্বার প্রজন্মের’ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মজলিস ও মতবিনিময় সভা মুরাদনগরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বরিশাইল্লা বউ : লুৎফুন্নেসা রহমান

খাদ্যের সংস্থান নিজেদেরই করার চেষ্টা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

পিপলস নিউজ ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬০৭২ বার পঠিত
ফাইল ছবি

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকটা এলাকায় আপনারা যত পারবেন খাদ্য উৎপাদন করবেন। তরি-তরকারি যেটা পারেন উৎপাদন করবেন, হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া যেটা পারেন সেটা পালন করতে হবে। নিজেদের খাদ্যের সংস্থান নিজেদের করার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে এর ধাক্কা যেন বাংলাদেশকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করতে না পারে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পর এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যে কোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন, বিপণনও দ্রুত এবং সহজ হবে। সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে, কারণ, এগুলো ৩৩টি রুটের ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করেছে, যা, সড়ক যোগাযোগকে অবাধ, দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ করবে।’ সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে সাতটি, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়টি এবং রংপুর বিভাগে তিনটি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত প্রায় ১৪ বছরে আমরা বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ এবং ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান বহু সড়ককে তাঁর সরকার মহাসড়কে উন্নীত করেছে যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়। প্রধানমন্ত্রী চলমান কোভিড-১৯ মহামারী থেকে উদ্ভূত বৈশ্বিক সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেনকে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা এবং বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির যে আশংকা করা হচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে সাশ্রয়ী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে তাঁর আহ্বান পূণর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই আঘাতটা আসবেই, কারণ, বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। কাজেই, কোনো জায়গায় একটা সমস্যা দেখা দিলে এর অভিঘাতটা বাংলাদেশেও এসে পড়ে। পাশাপাশি, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়াতে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে খুবই সাশ্রয়ী হতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের যে ধারাটা আমরা সৃষ্টি করেছি সেটা ধরে রাখতে উৎপাদন বাড়ান। আর যেসব জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেছে সেসব এলাকায় ঘর-বাড়ি এবং চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন এবং মশারি টানিয়ে ঘুমাতে যান।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। অনুষ্ঠানে সেতুর ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, তৃণমূলের মানুষের জন্য দেশের যে উন্নয়ন করা হয়েছে তার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ এবং সরকার কাজ করছে বলেই মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করেছি। দুর্গম এলাকাতে পর্যন্ত আমরা ব্রডব্যান্ড এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই আজ বিভিন্ন জেলা যুক্ত করে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করতে পারছি।’ সারাদেশে কানেকটিভি বাড়াতে তাঁর সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, সারাদেশে সড়ক, নৌ এবং আকাশপথে যোগাযোগ বাড়াতে তাঁর সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..