ভোলা জেলায় শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। গত কয়েকদিন ধরে শিশির ভেজা সবুজ প্রান্তর শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। শেষ রাত, ভোর বেলা ও বিকেলের পর থেকেই শীত অনুভুতি হচ্ছে দক্ষিণের এ জেলায়।
সন্ধ্যার পর অনেকেই শীতের পোশাক গায়ে জড়িয়ে বের হচ্ছেন। রাত বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে তাপমাত্রা। তবে শহরের তুলনায় চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় শীতের প্রকোপ বেশি রয়েছে। শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় শীতের ঐতিহ্য ভাপা পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করতে দেখা গেছে মৌসুমী বিক্রেতাদের। প্রস্তত করা হচ্ছে ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি করার স্থানগুলো।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: মনিরুজ্জামান বলেন, জেলায় সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকেই শীতের আবহাওয়া বিরাজ করে। এবছরও তাই হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শীত পড়ছে উপকূলের এ জেলায়। ভোরের দিকে হাল্কা কুয়াশায় ছেয়ে থাকে চারপাশ।
মঙ্গলবার ভোরে জেলায় সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে শীত পড়া শুরু হবে বলে জানান তিনি। এদিকে শীতের আগাম বার্তা জানান দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভাপা পিঠা বিক্রি করছে ভ্রম্যমাণ বিক্রেতারা। সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়ায় অস্থায়ী এসব দোকানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছে। প্রতিবছরের মতো ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি করতে তাবু টানানোসহ অনান্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্রেতারা। বিভিন্ন বিপণীবিতান গুলোতেও শীতের পোশাক উঠতে শুরু করছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শীতের খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছ পরিস্কার করা শুরু করেছেন গাছিরা। কোথাও কোথাও গাছে হাড়ি বাঁধাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে শীতের আবহাওয়া শুরুর সাথে বাড়ছে শিশুদের ঠান্ডা, জ¦র ও নিউমোনিয়া রোগ। ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে এসব রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের তত্তাবায়ক ডা: মো: লোকমান হাকিম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে শিশুদের ঠান্ডা জাতীয় রোগ বাড়ছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি হচ্ছে শিশুরা। গত ২৪ ঘন্টায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫০ শিশু ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে নিউমোনিয়ার ১২৫ জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।