এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করছেন মাধ্যমিকের শিক্ষকরা। সোমবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় বিভিন্ন জেলার ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎস ভাতা, ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন, একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের এক ধাপ নিচে দেওয়া হয়। তাছাড়া উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ রয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। তাছাড়া কয়েক বছর যাবৎ কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো প্রতিকার পাননি।
সমাবেশে আসা নোয়াখালী বেগমগঞ্জ বাবপুর জিরতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আজম খান বলেন, ২৯ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি শিক্ষা জাতীয়করণ করা হোক। এতে আমাদের বেতন বাড়বে, অভিভাবকদের খরচ কমবে, শিক্ষার্থীরাও অল্প বেতনে পড়তে পারবে।