স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠজন খ্যাত নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার ভোররাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বাংলাদেশের রাজনীতি-অর্থনীতি-শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের পুরোধা ব্যক্তিত্ব নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে দেশের স্বাধীনতা-স্বাধীকার-স্বার্বভৌমত্বের জন্য নিবেদিত আরেকজন সাহসী মানুষকে হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী।
২৯ মার্চ প্রেরিত শোক বিজ্ঞপ্তিতে ধারার প্রেসিডিয়াম মেম্বার কৃষকবন্ধু আবদুল মান্নান আজাদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, চেয়ারম্যান-এর উপদেষ্টা দৈনিক মাতৃভূমির খবর-এর সম্পাদক রেজাউল করিম নাসির তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ আরো বলেন, সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফার একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী। তাঁর মত এমন নির্ভীক রাজনীতিক আমাদের আজ খুব বেশি প্রয়োজন ছিলো। অথচ তিনি চলে গেলেন মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে। নেতৃবৃন্দ নূরে আলম সিদ্দিকীর বিদেহ আত্মার শান্তি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।