সাইমন ইসলাম সান্টু, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ , আজকের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রাঙ্গাবালীতে এসএসসি পরিক্ষার্থীকে মারধোর এর অভিযোগ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে পরিক্ষার্থী কে চর থাপ্পড় ও লাথি মেরে সরকে ফেলে মারধর করছেন আব্বাচ উদ্দিন নামে এক এ এস আই। মঙ্গলবার দুপুরে হালিমা খাতুন মহিলা কলেজে পরীক্ষা শেষে হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের পরিক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। মারধোর করা আব্বাস উদ্দিন রাঙ্গাবালী থানায় কর্মরত আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,পরিক্ষা শেষে কয়েকজন পরিক্ষার্থী তাদের সহপাঠীদের অপেক্ষায় কেন্দ্রের ভিতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় এএসআই আব্বাস উদ্দিন গিয়ে তাদের কে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।পরে জুনাইদ নামে এক শিক্ষার্থী ধাক্কার কারন জানতে চাইলে,তাকে চর থাপ্পড় দিয়ে সরকে ফেলে মারধোর করতে করেন এএসআই আব্বাস উদ্দিন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জুনাইদ জানান আগামীকাল আমাদের প্রাক্টিকাল পরিক্ষা রয়েছে তাই স্যার আমাদের দাড়াতে বলেছেন। তাই আমারা কয়েকজন কেন্দ্রের মধ্যে দাড়িয়ে ছিলাম। তখন এএসআই আব্বাস আমাদের বাহিরে গিয়ে দাড়াতে বলেন। তখন আমরা বলেছিলাম সব বন্ধুরা বের হউক আমরা এক সাথে স্যারের কাছে যাবো তাই দাড়িয়ে আছি।তারপর আব্বাস দারোগা আমাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে আমি বলি যে কি কারনে ধাক্কা দিলেন জানতে পারি।এরপরই সে আমার কলার ধরে চর থাপ্পড় মারতে মারতে মাটিতে ফেলে লাতি মারতে থাকে।

অপর এক পরিক্ষার্থী মোঃ ইসান বলেন আগামীকাল আমাদের প্রাকটিকাল পরিক্ষা তাই স্যারের সাথে কথা বলার জন্য দাড়িয়ে ছিলাম, এএসআই আব্বাস উদ্দিন আমাদের বন্ধুদের কে হুদাই মারলো, আমরা এর সুস্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।

রাঙ্গাবালী হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের হল সচিব মাওলানা মাহমুদুর রহমান জানান পরিক্ষা শেষে আমি বাড়ি চলে আসছি পরে শুনি গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এভাবে একজন পরিক্ষার্থী কে পুলিশ পেটাতে পারে না। আমরা ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নিবো।

অভিযুক্ত, আব্বাস উদ্দিন বলেন,আমি তাকে মারি নাই সরতে বলছি সরে নাই তাই ধাক্কা দিছি সে পরে গেছে। তাকে লাথি থাপ্পড় মারি নাই।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন, লাথি না ধাক্কা ই বা সে দিতে যাবে কেন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।