রিপোর্টারের নাম , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

৭ মার্চের ভাষণের ওপর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর খ্যাতিমান লেখকদের বিশ্লেষণধর্মী বই ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ : রাজনীতির মহাকাব্য’ এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বইটির ইলেকট্রনিক ভার্সন (ই-বুক) এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের উদ্বোধন করেন তিনি।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বইটির এ তিন সংস্করণের উদ্বোধন করেন।

সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিষয়টিকে অবিস্মরণীয় করার জন্য এ ভাষণের ২৬টি বাক্যের ওপর দেশের খ্যাতিমান লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রকাশনা বের করছে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ। এরসঙ্গে ডিজিটাল বুক ও মোবাইল অ্যাপও তারা তৈরি করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরবরাহ করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বইটির পরিকল্পনাকারী ও প্রধান উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক অধ্যাপক হাশেম খান।

বিশ্লেষণধর্মী এ গ্রন্থের মুখবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাছাইকৃত ২৬টি বাক্যের বিশ্লেষণ করেছেন মুস্তফা নূরউল ইসলাম, আবদুল গাফফার চৌধুরী, এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, হাসান আজিজুল হক, অজয় রায়, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, এসএ মালেক, সেলিনা হোসেনসহ কয়েকজন কয়েকজন খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও লেখক।

মুখবন্ধে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, জাতির পিতার এ কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এ ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্থানী শোষকগোষ্ঠীর হত্যা-নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র মূর্ত হয়ে ওঠে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের আবশ্যকতা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল এ ভাষণের মূল লক্ষ্য। শত্রুর মোকাবেলায় তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন-তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।

স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে ৭ মার্চের এ ভাষণ গোটা জাতিকে ঔপনিবেশিক পাকিস্থানী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে। জাতির পিতার এ সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে- লিখেছেন শেখ হাসিনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধনের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিতভাবে দীর্ঘদিন আমাদের দুটো প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা, ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মের আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় এবং তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের গৌরবগাঁথা পৌঁছে দেয়া একান্ত কর্তব্য ভেবেছি।

বইটির ই-বুক গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে বিদ্যমান ‘sheiBoi’ শীর্ষক অ্যাপের মাধ্যমে পাঠ করা যাবে।

এছাড়া 7th March Speech Analysis নামে গুগল প্লে-স্টোর থেকে play.google.com/store এটি ডাউনলোড করা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি অর্থাৎ মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।