আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: , আপলোডের সময় : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ , আজকের সময় : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

তাড়াইলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ১৫ অক্টোবর (রবিবার) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ধলা ছাগল উৎপাদনকারী দলের সভাপতি সুমাইয়া আকতার।
জানা যায়, উপজেলা প্রাণীসম্পদ নিয়ন্ত্রণাধীন এলডিডিপি প্রকল্পের পরামর্শে ও সহযোগিতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ প্রকল্পে প্রাডিউসার গ্রুপ (পিজি) এর নাম- ধলা ছাগল উৎপাদনকারী দল নামে ৩৭ জন ছাগলকামারী সদস্য নিয়ে একটি ছাগল উৎপাদনকারী দল গঠন করা হয়। প্রকল্পের অধীনে খামারীগণ ১০ টি মাসিক মিটিং সম্পন্ন করেন। ছাগল পালনের ঘর নির্মাণের জন্যকয়েক মাস আগে ৩৭ জন খামরির প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রকল্পের শর্তে উল্লেখ আছে, বরাদ্দকৃত টাকা খামারীগণের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে যা খামারি নিজেই উত্তোলন করবেন এবং ছাগলের ঘর খামারিরা নিজেই তৈরি করে নেবেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাগল উৎপাদনকারী দলের ৩৭ জন ছাগলকামারী সদস্যকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ডেকে নিয়ে কর্মকর্তাগণ বলেন, ঘর নির্মাণ সামগ্রী আমরা ও আপনারা কয়েকজন সদস্য মিলে ক্রয় করবো। তাতে ঘরের ধরণ ও মান ভাল হবে, কোনো ভিন্নতা হবে না। এতে আমরা সকল খামারীগণ সম্মতি প্রকাশ করি। সেমতে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পর অফিস কর্তৃপক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়, যা আইন বহির্ভূত। পরবর্তীতে ঘর হস্তান্তরের আলাপকালে পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের ম্যামো/প্রতি ঘরের খরচ জানতে চাইলে প্রকল্প কর্মকর্তা তোফায়েল সদস্যদের উপর রেগে যান এবং হুমকি ধামকি দেন। কর্মকর্তা ভয় প্রদর্শন করে বলেন, বেশি পাকনামো করলে এই গ্রুপটাই বাতিল করে দিব।

লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারী উপজেলার ধলা ইউনিয়নের ভেইয়ারকোনা গ্রামের রেজিয়া আকতার, হাবিয়া আকতার, আলফিনা আকতার, ললিতা আকতার সহ আরো অনেকেই বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূরজাহান বেগম আমাদেরকে এতদিন ঘুরিয়ে এভাবে বিতাড়িত করলেন কেন? কার ইশারায়? আমরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার এহেন কর্মকাণ্ডের বিচার চাই। আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তারা আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার লাগামহীন দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে আজ আমরা অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি। হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছাগল, ভেড়া, মুরগি ও হাঁস বিতরণে দেদারছে অনিয়ম করে যাচ্ছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূরজাহান বেগম সাক্ষাৎকার দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূরজাহান বেগমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ধলা ছাগল উৎপাদনকারী দলের সভাপতি সুমাইয়া আকতারের লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।