রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

গলাচিপা ও দশমিনায় প্রকাশ্যে নিধন হচ্ছে রেনু পোনা,কথা বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

মনজুর মোরশেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১১ মে, ২০২৪
  • ৫৭৮৬ বার পঠিত

পটুয়াখালীর গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে আবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় হাজার প্রজাতির মাছ । সরকার বছরে কয়েকবার জেলেদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিলেও কেন অবাদে এসব মাছের পোনা নিধন করছে সেটা নিয়ে জনপ্রতিনিধি থেকে মৎস্য কর্মকর্তাদের নেই কোন নজরদারি। অনেকটা প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এসব জলজ প্রাণীর ধ্বংসযজ্ঞ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে ) বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। মৎস আইনে অবৈধ এই রেণু সংগ্রহের কাজটি গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার নদী চরাঞ্চলের গ্রামীন নাড়ী, পুরুষ ও কিশোররা করে থাকে। স্থানীয় দালালরা সেগুলো অত্যন্ত সুলভ মূল্যে ক্রয় করে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার মৎস্য আরৎ কিংবা বড় দালালদের কাছে। জেলার বাহির থেকে আসা মূল দালালরা এরচেয়েও চরা মূল্যে রেনু গুলো কিনে রাতের আঁধারে সড়কপথে কিংবা নদী পথে বিভিন্ন জেলায় পাচার করে থাকে।

জানা যায়, গলাচিপা ও দশমিনার স্থানীয় প্রশাসনদের ম্যানেজ করে মোটামুটি প্রকাশ্যেই চলছে চিংড়ি রেনু আহরন ও পাচার। পরিবহনকালে রাতের শেষ অংশকেই বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা কারণ এই সময় টহল পুলিশ ছাড়া সড়ক পথের সকল চেকপোস্ট সিথিল থাকে। দ্রুত মাল পৌঁছানোর জন্য সড়কপথে টহল পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে কোটি টাকার রেনু পরিবহনের জন্য তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। প্রায় সময় তারা নদী পথে ট্রলারেও রেনু পুনা পরিবহন করে থাকে তবে এতে সময় বেশি ব্যয় হয়।

প্রতি বছর চিংড়ির প্রজনন মৌসুমে দেখা যায় নদীর তীরবর্তী গ্রাম হরীদেবপুর, পানপ্রট্টি, তেতুলীয়া নদীর তীর, বুড়াগৌরঙ্গ নদীর চরাঞ্চল, বদনাতলী সহ গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেনু আহরন কাজে নিয়জিত ব্যাক্তিরা জানায়, মাছুয়া অফিসার ও তার অফিসের লোকদের ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করছেন ।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করছে। তবে রেনু সংগ্রহ কালে ভিন্ন জাতের চিংড়ি কোরাল, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া,কাঁচকি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ওই নেট জালে ধরা পড়ে। তারা শুধু গলদা-বাগদা চিংড়ি রেনু রেখে বাকিগুলো নিধন করে ফেলে।
জেলেরা জানায়, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই ,না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জহিরনন্নবী’র কাছে গেলে তিনি সাংবাদিক দেখে দ্রুতগতিতে রুম থেকে বের হয়ে যায়। যেতে যেতে বলেন জেলা সিনিয়র স্যার কোন প্রকার সাক্ষাৎকার দিতে নিষেধ করেছেন ।
জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম বলেন আসলে জহিরনন্নবী লাজুক ও ভীতু প্রকৃতির তাই কোন কিছু বলেননি। রেনু পোনা নিধনে আমার দপ্তর জিরো টলারেন্স এতে করে কোন প্রকরা ছাড় দেয়া হয় না আর হবেও না।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..