দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত। শ্রাবণের এই ভরা মৌসুমে গাছে গাছে সবুজ পাতার ডালে পাখা মেলতে শুরু করেছে বিলুপ্ত প্রায় এই ফুলটি। চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাতার মাঝে হলুদ চিরচেনা কদম গাছ এখন আবার চোখে পড়ছে নানা প্রান্তরে।
সারাবছর অবহেলায় পড়ে থাকা কদম গাছটি বর্ষা এলেই হয়ে উঠে প্রেমিক হৃদয়ের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। রিমঝিম জলে কদমের কোমলতা যেন খুঁজে পাওয়া ভার। বর্ষার গানে কদম ফুলের ঠাঁই না হলে যেন কেমন জানি শূন্যতা লাগে। বৃষ্টিভেজা কদম ফুলের পরশ নিতে ব্যাকুল থাকে মন।
বাংলা সাহিত্যে, কবিতায়, গানে, চিত্রে কদম ফুল এসেছে বারবার। কবিরা কদম ফুলকে বর্ষার দূত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কদম ফুলকে ঘিরে রয়েছে অনেক গান, কবিতা ও রচনা।
কদম ফুল নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে বলেছেন, বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান।
মৈত্রেয়ী কবি রীনা বিশ্বাস বলেছেন, নব বর্ষায় তোমায় দিলাম প্রথম ফোটা কদম ফুলটি, ভরাও ব্যাকুল উদাস মনটি।
বৃষ্টি ছাড়া বর্ষার আগমনী কদম ফুল ফোটে না। গাছ যতই বড় হোক বৃষ্টি স্বল্পতা হলে কদম ফুল আকারে ছোট ও অপ্রতুল হয়। ফুল বড় বা বেশি ফোটার জন্য বিশেষ কোনো ধরনের সার কিংবা যত্নের প্রয়োজন হয় না। ফুলে ভরা কদমগাছ দেখতে অসাধারণ হলেও এর আর্থিক মূল্য খুবই কম। কাঠ নরম বলে আসবাবপত্র তৈরি করা যায় না। তবে শুধু সৌন্দর্য নয়, এর রয়েছে বিভিন্ন ভেষজ গুণ। পাশাপাশি কদম গাছের কাঠ দিয়ে কাগজ, দেয়াশলাই ছাড়াও তৈরি হয়ে থাকে আরো জিনিসপত্র।
সম্প্রতি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার সড়কের পাশে শোভা পাচ্ছে কদম ফুল গাছ। যা দেখে বিমোহিত হচ্ছে পথচারীরা, তৃপ্তি দিচ্ছে সৌন্দর্য পিপাসুদের।