রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
হত্যা মামলায় শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে : পিটিআইকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলের সাথে এ কেমন শত্রুতা ? ৭দফা দাবিতে তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘ভূমিহীন’ থেকে ১৫ বছরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয়ে অভিনন্দন তথ্য উপদেষ্টার বিএসএফের গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে ভারতকে আহমদ শফী আশরাফী’র নিন্দা বামনায় সাংবাদিকদের সাথে ” আলোকিত সমাজ”র নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিন যেতে রেজিস্ট্রেশনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : মন্ত্রণালয় ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

তাড়াইলে অবৈধ সীসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ- ১ জনকে জেল

আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৫৭৬৯ বার পঠিত

মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আবাসিক এলাকায় উন্মুক্তভাবে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ সময় কারখানার দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বাউলিয়া গ্রামের বয়াছ উদ্দিন বেপারীর ছেলে সোলাইমান (৫২) কে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের জেল ও ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

জানা যায়, শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের মাগুরী গ্রামের নরসুন্দা বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়।

স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়ে মাগুরী নরসুন্দা বাজারে পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরীর কারখানাটি তৈরি করে গাইবান্ধা জেলার কতিপয় লোক। কারখানাটির চারপাশে টিনের বেড়ার তৈরি ঘরে চলছিল কারখানার কাজ। কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও কাছে গেলেই বুঝা যায়, ভিতরে রয়েছে সীসা কারখানা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরাতন ব্যাটারী কিনে এনে ঐ কারখানায় পুড়িয়ে সীসা তৈরি করতো। আর এই কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে স্থানীয়রা। আক্রান্ত হয়েছে ফসলের জমি আর ওই এলাকার মাঠের ঘাস খেয়ে গবাদি পশু মারা যায়। পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপদনের কাজ চলতো রাতদিন। কারখানা থেকে বের হওয়া বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে যেত চারদিক। এই ধোঁয়ার কারণে আশপাশের এলাকাবাসীর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হত। বিশেষ করে ওই এলাকার অনেক শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, ব্যাটারির ধোঁয়া বাতাসে মিশে, ঘাসের ওপর পড়ে। আর সেই ঘাস খেলেই মারা যায় গরু। এ কারখানায় যারা কাজ করতো তাদের অনেকের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় কোনো মাস্কও ব্যবহার করতো না শ্রমিকরা। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল কারখানা সংলগ্ন স্থানে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতো শ্রমিকরা। দিনের শ্রমিকরা ব্যাটারি ভেঙে খুলে রাখতো, আর রাতে চলত ব্যাটারি পোড়ানোর কাজ। ধোঁয়ার গন্ধে মানুষের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে এলাকার অনেক মানুষ।

অভিযান পরিচালনার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিতি ছিলেন, উপজেলা সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম। মোবাইল কোট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন তাড়াইল থানার একদল পুলিশ সদস্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন জানান, গোপন সূত্রে জানতে পারি এই এলাকায় অটোর ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরি করছে এবং ইহার বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশেপাশের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় কারখানায় থাকা একজনকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের কারাদন্ড ও ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করি। পাশাপাশি কারখানায় ব্যবহৃত সিসা তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জামাধি উদ্ধার করি। পরিবেশ সুরক্ষায় অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..