যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টর্নেডোতে লণ্ডভণ্ড কেনটাকি অঙ্গরাজ্য। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মতো মারা গেছেন। বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় হয়েছে বহু মানুষের। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে কেনটাকি অঙ্গরাজ্য। সবকিছু তছনছ করে দিয়ে গেছে। ঘটনার বর্ণনা করে একজন বলেন, এটি একটি ট্রাজেডি। এই দুর্যোগে কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন আর কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও ধারণার বাইরে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও প্রাণের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। তবে উদ্ধারকর্মী সংস্থার যন্ত্রপাতি, পুলিশ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কেনাটকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশির বলেছেন, ‘টর্নেডোর আঘাতে যা ঘটেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। এরকম দৃশ্য আমি কখনও প্রত্যক্ষ করিনি’।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, শীতের মৌসুমে এমন টর্নেডো অস্বাভাবিক। কেনটাকির মেফিল্ডে একটি মোমবাতি কারখানা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের গর্ভনরের তথ্যমতে, এই মোমবাতির কারখানায় ৪০ শ্রমিক মারা গেছেন। প্রতিবেশী রাজ্য আরকানসাসের একটি নার্সিং হোমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে ইলিনয়ে একটি আমাজনে গুদাম ছয়জন শ্রমিক মারা গেছেন।
অনেকে জায়গার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পড়েছে কেনটাকির হাজার হাজার অধিবাসী। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টর্নেডো আক্রান্ত এলাকায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।