নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ দেশে সনাক্ত হওয়ায় নতুন করে উৎকণ্ঠা তৈরি হলেও উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। মাস্ক ছাড়াই অফিস-আদালত, হাসপাতাল-ক্লিনিক, বাজার, গণপরিবহনে চলাফেরা করছে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। লঞ্চ, বাস স্টেশন ও বাজারে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব না মেনে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষ। কোথাও যেতে গাদাগাদি করে তারা পরিবহণে উঠছে। খুব অল্পসংখ্যক মানুষের মুখে মাস্ক। অধিকাংশের মাস্ক আবার থুতনিতে। কেউ কেউ কোমরে চাবির রিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছেন। হাত না ধুয়ে চলছে হোটেল রেস্টুরেন্টে যথেচ্ছা খাওয়া। হাসপাতালেও মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে মানুষ।
খাবার দোকানের বেঞ্চে বসে খাবার খাচ্ছে মানুষ। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। পানি দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার খাচ্ছেন তারা। পাশেই রাস্তা থেকে যানবাহন চললেই উড়ে আসছে ধুলা। দোকানের বেঞ্চে বসে ভাত খাচ্ছেন ভ্যানও রিকশা চালকরা। শীতের আবাহ বিরাজ করায় এখানটায় সকাল-সন্ধ্যায় লঞ্চ, যাত্রীবাহী বাসগুলোতে জানালা বন্ধ করে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছে মানুষ। বদ্ধ ঘরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। ফুডফুড, রেস্টুরেন্টে বদ্ধ জায়গায় ভিড় করে চলছে আড্ডা আর খাওয়া। দীর্ঘ সময় মাস্ক ছাড়া বসে থাকায় বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। এভাবেই উধাও হয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি।
উপজেলা স্বাস্থ বিভাগ জানায়, এখানে প্রথমডোজ দেওয়া হয়েছে ৫১ হাজার ৩৭৯জন, দ্বিতীয়ডোজ- ৩৩ হাজার ৯৮০ জনকে। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু নেই। তবুও ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের আগেই সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও যারা এখনো টিকার বাইরে রয়েছে তাদের দ্রæত টিকা নেওয়া। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে যে কোনো ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: তেন মং বলেন, আতঙ্কের কারণ নেই। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং দ্রæত সবাইকে টিকার আওতায় আনতে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আরও জোর দিতে হবে। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করতে শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। নিজের, পরিবারের এবং চারপাশের মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি টিকা কর্মসূচিকে আরও জোরদার করা হবে। টিকা নিলে করোনার ঝুঁকি এবং জটিলতা দুটোই কমবে।