বরগুনার বেতাগী উপজেলার গৃহহারা সেই মকবুল হাওলাদারের পাশে মানবিতার হাত বাড়িয়ে এগিেেয় এসেছেন পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীরের স্ত্রী পূনক সভাপতি জিসান মীর্জা, বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ এবিএম গোলাম কবির ও চট্রগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি মো: রাশেদুল হাসান। তারা মকবুলের এবং তার প্রতিবন্ধী শিশু কন্যার জন্য পাকা বাড়ি বানিয়ে দিবেন। পাশাপাশি পৌর মেয়র ও শিল্পপতি আজীবন ভরণ পোষনের সকল প্রকার দায়িত্ব নিলেন। মকবুল হোসেনকে নিয়ে জাতীয় ও পপুলার অনলাইন পত্রিকা ‘বিডি পিপলস নিউজ’, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রচার হলে শুক্রবার দুপুরে বিশেষ করে মেয়র এবিএম গোলাম কবির তার বাড়িতে ছুটে যান এবং এসব ঘোষণা দেন।
উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৯ নংওয়ার্ডের ঝিনবুনিয়া গ্রামের৭৫ বছরের বৃদ্ধ মো: মকবুল হোসেন তার প্রতিবন্ধী কন্যা মিমকে নিয়ে দীর্ঘদিন প্রতিবেশী খালেক হাওলাদার’র গোয়াল ঘরে বসবাস করে আসছে। এই কনকনে শীতের মধ্যে তারা গোয়াল ঘরে মানবতার জীবন যাপন করছেন। তার বয়স্কভাতার কার্ডটি এক বছর আগে হারিয়ে ফেলায় পাচ্ছেনা বয়স্কভাতা। গবাদি পশুর বর্জ্যের মধ্যে নিরুপায় হয়ে বসবাস করা আশ্রয়হীন ওই বৃদ্ধের শেষ বয়সে যেন দেখারও কেউ নেই। তীব্রশীতে গোয়াল ঘরের স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে বিছানো খড়কুটা ছেঁড়া কম্বলই ছিল বাবা-মেয়ের সম্বল। রোগাক্রান্ত শরীর নিয়ে কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই দিনকাটত তাদের।
জানা যায়, দারিদ্র্যতার ঘূর্ণিপাকে বাস করা সেই ১৪ বছর বয়সি মেয়ে এবং ৭৫ বছর বয়সি বাবার বেঁচে থাকাই ছিল কষ্টসাধ্য। বয়সের ভারেন্যুব্জ হয়ে হাঁটা চলাবন্ধ বৃদ্ধ মকবুল হাওলাদারের। তবু পেটের দায়ে রোগা শরীরনিয়ে লাঠিএবং মেয়েরকাঁধে ভর দিয়ে খাবার তাগিদে তাকে বের হতে হত গ্রামে গ্রামে। মানুষের কাছে হাত পেতেযদি কিছু জোটেতা দিয়েই বাবা মেয়ের পেট চলে। কিন্তু যেদিন শরীরভালো থাকেনা, সেদিন তিনি বেরহতে পারতেন না। উপোস থাকতে হয় বাবা ও মেয়েকে।
বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবিরের মানবিকতায় মকবুল হাওলাদার ও তার মেয়েকে একটি পাকা বাড়ি বানিয়ে দেয়ার জন্য শুক্রবার বিকালেই তার বাড়িতে ইট পৌছানো হয়েছে। মেয়র গোলাম কবির মকবুল হাওলাদের বাড়িয়ে দিয়ে কম্বল ও নগদ টাকা তার হাতে তুলে দেন। এসময়ে তিনি ঘোষণা দেন এই মুহুর্ত থেকে এ পরিবারের সকল দায়িত্ব আমার। মেয়রের এসব ঘোষনায় খূশি মকবুল হাওলাদার ও স্থানীয় জনগন।
Print [1]