আন্তর্জাতিক ডেস্ক: , আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনার অপরাধে উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড

উত্তর কোরিয়ায় এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড সারারণত প্রকাশ্যে কার্যকর হয়। যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, তার স্বজনদেরও এ ঘটনা সরাসরি দেখতে হয়।

কোরিয়ান পপ (কে-পপ) কালচার এখন পুরো বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। বিটিএসের নাম শোনেনি বিশ্বে এমন সংগীতপ্রেমী নেই বললেই চলে। অথচ এই কে-পপ শোনার অপরাধেই উত্তর কোরীয়দের মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, কমপক্ষে ৭ জন ব্যক্তিকে কে-পপ শোনা ও বিতরণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন পালিয়ে উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করা ৬৩৮ জনের সাক্ষাৎকার নেয়। সেখানেই তারা কে-পপ শোনার অপরাধে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি জানতে পারে। সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, উত্তর কোরিয়ায় এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড সারারণত প্রকাশ্যে কার্যকর হয়। যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়, তার স্বজনদেরও এ ঘটনা সরাসরি দেখতে হয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন যখন উত্তর কোরিয়া সফরে আসে। কিম জং উনই তখন কে-পপ দল রেড ভেলভেটকে পিয়ংইয়ং এ পারফর্ম করতে আমন্ত্রণ জানান। তখন কিম কে-পপের বিষয়ে আগ্রহ দেখান এবং লিরিক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। যদিও উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া কে-পপকে সমাজতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে সতর্ক করে।

বিদেশি কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া বেশ কঠোর। এর আগেও জানা গেছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স অরিজিনাল সিরিজ ‘স্কুইড গেম’ চীন থেকে উত্তর কোরিয়ায় পাচার করে নিয়ে আসা এবং বিক্রির দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।