সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ): , আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ইলিশায় নির্বাচন থেকে সরে যেতে মেম্বার প্রার্থীর গলায় ছুড়ি! পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা লুট

নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও বর্তমান মেম্বার প্রার্থী মো. রফিউদ্দিন হাওলাদারকে হত্যা চেষ্টার জন্য গলায় ছুড়িকা আঘাত ও পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ অর্থ লুট করার অভিযোগ ওঠে ওই ইউনিয়নের সদ্য-সাবেক মেম্বার ও বর্তমান মেম্বার প্রার্থী সেলিম হাওলাদার ও তার ছেলে মো. শামীমের বিরুদ্ধে। পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন এর হাওলাদার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মেম্বার প্রার্থী মো.রফিউদ্দিন হাওলাদার ও তার ভাই শামসুদ্দিন হাওলাদার গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।
হামলার শিকার মেম্বার প্রার্থী মো. রফিউদ্দিন হাওলাদার জানান, শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ব রোড হাওলাদার বাজারে আমার টিন, সার ও কীটনাশকের ডিলার সিপের দোকানে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশ্য টাকা গুনতে ছিলাম। এ সময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সেলিম হাওলাদারের ইন্দনে তার ছেলে শাশীম ও হাবিবসহ বেশ কিছু লোক আমার দোকানে আসে। তখন শামীম পিছন থেকে আমাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে টেবিলে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতে নিয়ে নেয় এবং আমাকে বলে তুই কি নির্বাচন করবিৃ? আমার বাপের বিরুদ্ধে তুই দাড়াইছোচ কিয়ারে। তখন আমি ওই অবস্থাতেই বললাম এই ওয়ার্ড থেকে আরও অনেক লোক দাড়াইছে আমি একা দড়াইছি দেইখা কি হইছেৃ.? শামীম কয় তোর টাকা উদ্ধ করতে হইবো, এহনও অনেক টাইম আছে। আমি তার কথায় রাজি না হলে সে বলে তোর টাকা উদ্ধ করার দরকার নাই তোরে এহনি মাইরালামু। এই বলেই শামীম আমার গলায় ছুড়ি ধইরা পোঁচ দিছে। তার পেন্টের পকেট থেকে পিস্তল বের করে আমার বুকে ঠেকিয়ে বলে এর পরেও টাকা না উঠালে তোরে আর খুজে পাওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, এই শামীম গতকাল রাতেও আমার বাড়ি মসজিদে তিনটা বোমা মারছে। এর দুই আগে আমার বাড়িতে হামলা করছে বোমা মারছে। আমি এই সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি। এবং আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আমার নির্বাচনী এলাকায় সুস্থ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানাই।
এদিকে হামলার শিকার মেম্বার প্রার্থী ভাই শামসুদ্দিন হাওলাদার বলেন, আজকে দুপুরে আমি খবর পাই আমার ভাইরে বাজারে কারা মারতেছে। তখন আমি বাজারে গিয়ে দেখে তাকে অটোতে করে হাসপাতালে নিতেছে। তখন আমি অন্য গাড়িতে হাসপাতালে আসার সময় ইলিশা তেমাথায় আসলে সেলিম হাওলাদারের ছেলে শামীমসহ বেশ কিছু লোক হঠাৎ মারধর করে। পরে ওই এলাকার লোকেরা আমায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদিকে অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী সেলিম হাওলাদার এর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৭১৫৮৪৮০৫৪) একাধিকবার যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত সাহেন জানান, দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।