সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেইয়েসুস।
তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। এর ধারাবাহিক প্রমাণ রয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওমিক্রনের কারণে নতুন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর লকডাউন বহাল করতে বাধ্য হচ্ছে। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডস হলো ইউরোপের প্রথম কোনো দেশ যারা ফের লকডাউন আরোপ করেছে।
এছাড়া ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস এবং জার্মানি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে। কোনো কোনো দেশ আবার বাতিল করেছে ক্রিসমাস বা বড়দিনের উৎসব।
কানাডার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ কুইবেকে বার, জিম এবং ক্যাসিনো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণকে বাড়ি থেকে কাজ করার।
অপরদিকে সতর্কতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘নো-ফ্লাই’ এর তালিকায় যুক্ত করেছে ইসরায়েল।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও শতাধিক। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় সেখানে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে দ্রুত। এদিকে করোনা মহামারির প্রথম ঢেউয়ের চরম আঘাত থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতালি আগেভাগেই কড়াকড়ি আরোপ করতে চলেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। দেশটি একটি ‘লাল তালিকা’ তৈরি করেছে। যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েলকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশেও দুজন নারী ক্রিকেটার ওমিক্রনে আক্রান্ত হন। জিম্বাবুয়ে সফর শেষে দেশে ফিরলে তাদের শনাক্ত হয় ওমিক্রন। তবে তারা সুস্থ আছেন।
নভেম্বরের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। এরপর দ্রুত গতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। আগের ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক হলেও এটি কতটা গুরুতর অসুস্থ করে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।