নিজস্ব প্রতিবেদক , আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ , আজকের সময় : শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ছয় বছর ধরে লঞ্চের আনসার সদস্য নেই

শত শত যাত্রী নিয়ে রাতের আঁধারে চলাচল করা লঞ্চগুলো নিরাপত্তা রক্ষায়  এখন আর অস্ত্রধারী কোন নিরাপত্তাকর্মী রাখা হয় না। আগে প্রতিটি লঞ্চের  ৬ জন করে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করতো। কিন্তু সদস্যদের বেতন বাড়ার অজুহাতে লঞ্চ মালিকরা ছয় বছর ধরে লঞ্চের আর তাদের নিয়োগ করছেন না। লঞ্চে এ অস্ত্রবিহীন নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করেন।

অভিযান-১০ লঞ্চ এ অগ্নিকাণ্ডের পর জানা যাচ্ছে ওই লঞ্চে কোন আনসার সদস্য ছিলো না। অনেকেই মনে করেছেন আনসার সদস্য থাকলে যাত্রীদের হতাহতের সংখ্যা কম হতো।

শুধু অভিযান- ১০ নয় দেশের নদী পথে রাতের যাত্রী পরিবহন করা দুই শতাধিক ছোট-বড় লঞ্চের আনসার সদস্য। ছয় বছর ধরে এই অবস্থা চলছে। অনেক এ  আনসার সদস্যের মতো উর্দিপরে লাঠি হাতে নিজস্ব কর্মী রেখেছেন লঞ্চে।

আনসার বাহিনীর সাথে কথা বলে জানা যায় বেশি মুনাফার আশায় বেতন দিয়ে প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্যরা চাইছেনা লঞ্চ মালিকরা।

ঝালকাঠি ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন লঞ্চে আনসার না থাকায় যাত্রীদের মালপত্র ছিনতাই হচ্ছে। কখনো করে সবকিছু নিয়ে যাচ্ছে। আনসার সদস্যরা থাকলে এসব‌ হত না। আবু জাফর বলেন এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আনসার এর নিয়োগ না দিলে লঞ্চ চলবে না এ ধরনের নির্দেশনা আসা প্রয়োজন। লঞ্চ করছে কখন স্যারের মতো পোশাক বানেছা পরিয়ে লোক দেখানো কাজ করে।

নৌ-পুলিশের বরিশাল সদর থানার ওসি দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক প্রসেনজিৎ দেবনাথ বলেন আনসার সদস্য থাকে প্রায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে সেগুলোর কম হতো।