নিজস্ব প্রতিবেদক , আপলোডের সময় : শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২ , আজকের সময় : শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রাথমিকের সহ: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

দেশব্যাপী নতুন বই বিতরণ কর্মসূচি চলছে; এ কারণে জানুয়ারি মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে একাধিক সভা করা এখনো বাকি। এছাড়া নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে অধিদফতরের পাশাপাশি শিক্ষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ কার্যক্রম শেষ হওয়া মাত্রই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন কর্মকর্তারা।

এদিকে, হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসেও প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের নার্স-চিকিৎসকরা সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন, সব ধরনের দোকান-পাট রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। টিকার সনদছাড়া রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করা যাবে না। যাত্রীবাহী বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ সব পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নির্দেশনা আসবে।

এ পরিস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে, তা জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বৈঠক করেছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে পরীক্ষা হবে। তবে সংক্রমণ বেড়ে গেলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। আবেদন শেষ হয় ২৪ নভেম্বর। ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের জন্য আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। প্রতি পদের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৪০ জন।

সহকারী শিক্ষকের মোট ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।