গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর এর গোপন একাউন্ট ‘ ২ কোটি সোয়া ৬০ লাখ টাকা তছরুপ , শীর্ষক সংবাদ মঙ্গলবার প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয় । এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসেছে। বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরো বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তের জন্য মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গাজীপুর নগর ভবনের দিনব্যাপী তদন্ত কার্যক্রম চালায়।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও মোঃ আমিনুল ইসলাম। বরখাস্ত মেয়র এর নামে আলোচিত গোপন একাউন্ট এর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সিইও বলেন, এখন তদন্ত কমিটি সামনে থাকার কারণে কোন কথা বলা যাচ্ছে না ।
গাসিক সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অপ্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল- ভাউচার এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে অর্থআত্মসাতে এবং প্রতি বছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারণ খাতে জমা না রাখা সহ নানাবিদ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে । এছাড়া ভূমি দখল ও ক্ষতিপূরণ সারারাস্তা প্রস্তুতকরণ সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে ইতিপূর্বে সিটি কর্পোরেশনের মতামত জানতে চাওয়া হলে কোন মতামত প্রদান করা হয়নি। ফলে তদন্ত কমিটি নগরভবনে এসে এসব অভিযোগ নিবিরভাবে খতিয়ে দেখছে।
এদিকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্থানীয় কোনাবাড়ী শাখা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নামে বরখাস্ত মেয়র এর পরিচালনায় গোপন একাউন্টের বিষয়ক মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে বলে গাসিক সূত্র জানিয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ হিসাব টি খোলার দিনেই ৪০ লাখ ২৫ হাজার ও ৫০ লাখ টাকার পৃথক দুটি পে-অর্ডার তাতে জমা হয়। উক্ত হিসাব নম্বরে ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার দাখিলকারী ইস্পাহানী ফুডস লিমিটেড কারখানার মানব সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী জানান, তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে কারখানার লে-আউট প্ল্যান অনুমোদন ও জরিমানার নামে টাকা আদায় করা হয়েছে। তিনি নিজেই ভুক্ত পেয়ারা নগরভবনে নিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তখন মেয়র হিসাব শাখার একজনকে দিয়ে প্রিয়রাট রিসিভ করেন।
উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটির অভিযোগে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। একই সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মেয়র এর পর থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করে।