ক্রীড়া ডেস্ক:
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ফারজানার অর্ধশতকের পাশাপাশি শারমীন ও অধিনায়ক জ্যোতির ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে বাংলাদেশের নারীরা। বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৫ রান তুলতে পারে পাকিস্তানী নারীরা। ব্যাটারদের পর বোলারদের অসাধারণ নৈপূন্যে নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপেই জয় পেলো বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে শতরানের জুটি গড়া মিস হয় টাইগ্রেসদের। ফারজানা-জ্যোতি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ৯৬ রানের জুটি গড়েন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিংয়ে বড় জুটি গড়ে বাংলাদেশের উপর চাপ দিচ্ছিল পাকিস্তান। তারউপর টাইগ্রেস ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস ও স্লপি ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিচ্ছিলো পাকিস্তানীরা। তবে রুমানা হকের হাত ধরে কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু পায় টাইগ্রেসরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নামা পাকিস্তান ২৩ ওভারে তুলে ফেলে ৮৯ রান। তবে রুমানা পাকিস্তান ওপেনার নাহিদাকে বোল্ড করে খেলায় ফেরায় বাংলাদেশকে। নাহিদা ৬৭ বলে ৪৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
এরপর ফাহিমা, জাহানার ও রুমানার বোলিং নৈপূন্যে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তানীরা। তিনে নামা বিসমাহ মারুফকে ব্যক্তিগত ৩১ রানে ফেরানোর পর মিডল অর্ডারে ব্যাটিং ধ্বস নামায় টাইগ্রেসরা। টানা তিন পাকিস্তানী ব্যাটারকে শূন্য রানে ফেরায় টাইগ্রেস বোলাররা। এরমধ্যে ফাহিমা আলিয়া ও ফাতিমাকে টানা দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগায়। তবে হ্যাটট্রিক না পেলেও ফাহিমা দারুণ চাপে রাখে পাকিস্তানীদের। তার সঙ্গে শেষদিকে রুমানা, সালমা ও নাহিদার দারুণ বোলিংয়ে রান রেটের চাপে পড়ে পাকিস্তানীরা।
শেষদিকে পাকিস্তানের হয়ে একাই লড়াই করছিলেন ওপেনার সিদরা আমিন। এই ব্যাটার শতক হাঁকিয়ে ১০৪ রান করে রান আউট হয়ে ফিরলে পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা কমে যায়। এক পর্যায়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। তবে হাতে ছিল মাত্র ১ উইকেট। নাহিদার করা শেষ ওভার থেকে মাত্র ৬ রান তুলতে পারে পাকিস্তানী নারীরা। শেষ পর্যন্ত ৯ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিসমাহ মারুফের দল।
টাইগ্রেসদের পক্ষে ফাহিমা ৩৮ রানে ৩টি এবং রুমানা ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া সালমা ও জাহানারা পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরানো ফাহিমা পান ম্যাচসেরার পুরষ্কার। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের পুরুষ দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছিল টাইগাররা।