সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রবাসীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও দামি গাড়ি নিয়ে কেয়ারটেকার পলাতক, মামলায় ধীরগতি বেতাগীতে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীর আত্মহত্যা নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা চাই : ড. সাখাওয়াত দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন কালো টাকায় সাবেক যুগ্মসচিব নিশীথ কুমার সরকারের সম্পদের পাহাড়! বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শৌজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিপনের বিরুদ্ধে বামনায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপে চলছে দূর্ঘা উৎসব পটুয়াখালীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভারতে রাসুলুল্লাহকে কটূক্তি ও মুসলমানদের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ মুরাদনগরে সালিশি বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৩

পটুয়াখালীতে ইউপি সচিবের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর তদন্ত

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬১৩৪ বার পঠিত

বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব যাদব কুমার দত্তের বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম,দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের এক্সকিউটিব মেজিস্ট্রেট নইম উদ্দিন সরজমিন তদন্ত করেন।

২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু, ইউপি সদস্যগন ও ভুক্তভোগী জনতার উপস্থিতিতে এ তদন্ত করা হয়।

উল্লেখ্য যে গত ৩১আগষ্ট একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আসাদুল হক জুয়েল ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করাতে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮-৯ গুণ বেশি টাকা আদায় করেন ইউপি সচিব যাদব কুমার দত্ত।

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য কেশবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ৭-৮টি এজেন্ট বসান সচিব। ওই এজেন্টরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতিজনের কাছ থেকে নেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তিনি অভিযোগে আরো জানা যায় সচিব যাদব কুমার দত্ত সপ্তাহে ২-৩ দিন ইউনিয়ন পরিষদে বসেন। বাকি দিনগুলো পটুয়াখালীতে অবস্থান করেন। এর ফলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ইউপি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। কোন মানুষের সচিবকে জরুরি প্রয়োজন হলে পটুয়াখালী শহরে গিয়ে কাজ করাতে হয়।

ইউপি সদস্য মো.আসাদুল হক জুয়েল বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি জনগন আমাকে ভোট দিয়ে মেম্বর বানিয়েছে তাদের উপকারের জন্য। ইউপি সচিবের সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত আক্রশ নাই। আমি যাহা কিছু করেছি জনগনের স্বার্থের জন্য করেছি।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক খবর প্রকাশ হয়। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সচিব যাদব কুমার দত্ত বলেন,আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রশের কারনেই এ সব অভিযোগ করা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন এ সব অভিযোগের পূর্বে আমি কিছুই জানতাম না। ব্যক্তিগত আক্রশের কারনেই এসব কিছু হতে পারে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..