সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তার ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন হরিরামপুরে ৪ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুতুল দাহ করায় হুমকি : উদ্বেগ প্রকাশ কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক মুরাদনগর শ্রীকাইলে ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হুরোয়া চ্যাম্পিয়ন তাড়াইলের কথিত পীর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নৌকার চাহিদা

বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৮৪৩ বার পঠিত
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনও ছিল গভীর চক্রান্ত। জনগণের ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছিল, কিন্তু ক্ষমতায় বসতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামল ছিল জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও লুটপাটের। বিএনপির সময় দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। ২২ তম জাতীয় সম্মেলনের আগে শেষবারের মতো দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বসেছে দলটি।

তিনি বলেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখনই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে জনগণের সেবক মনে করে এবং সেটাই করে।

প্রদানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দুর্নীতিই ছিল নীতি। এছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস লুটপাট মিলে দেশে আরেকটি কালো অধ্যায় শুরু হয়। বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাই ছিল অগণতান্ত্রিক, অবৈধ উপায়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, জেনারেলের পকেট থেকেই বিএনপির জন্ম, মাটি ও মানুষ থেকে এদের জন্ম হয়নি। এরা সব সময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ২০০১, ২০০৬ সালে প্রতিবার তারা ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ ছিল না। সে সময় বিএনপির সব পছন্দের লোকই ক্ষমতায় থাকার পরও যে দল ৩১টি আসন পায়, সে দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে- এটা বিএনপির নেতারা কীভাবে মনে করে।

তিনি আরও বলেন, যে দলের নেতারা বিদেশে টাকা পাচারের জন্য শাস্তি পাওয়া, গ্রেনেড হামলায় শাস্তি পাওয়া; তারাই আবার টাকা পাচার নিয়ে কথা বলে। যে দলের নেতারা গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, জনগণের ভোটে তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় যাবে এ স্বপ্ন তারা কীভাবে দেখে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা, আর পাচার করা টাকায় দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করা তার (তারেক জিয়া) কাজ। দেশের যে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে, এখন সেই টাকাই বিদেশে দেশের বদনাম করতে ষড়যন্ত্র করছে, বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধী জামা-কাপড় ইস্ত্রি করে বসেই থাকেন অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার জন্য। আর যারা কোন উন্নয়ন চোখে দেখে না, তারা বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধি। তারা যেকোনভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চায়। কারণ অগণতান্ত্রিক সরকার এলে তাদের কদর বাড়ে। তারা অগণতান্ত্রিক সরকারের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

তিনি আরও বলেন, যাদের চোখ আছে তারা উন্নয়ন দেখবে, আর বুদ্ধিজীবী প্রতিবন্ধীরা কোনও উন্নয়ন দেখে না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্য বাড়ে। গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চললে তাদের হতাশা লাগে। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের কোনও ভালো হবে না। তাদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে দেশের কল্যাণী কাজে লাগানোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..