‘কুমিল্লার মুরাদনগরে আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাই কৃষক সহিদ মিয়া’ শিরোনামে গত ২৪ ফেব্রুয়ারির পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। যার ফলে বিষয়টি মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফাউন্ডেশনের নজরে আসে। মানবিকতায় সারা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি ব্যক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি সরকারী ভাবে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছেন। অপর দিকে মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফাউন্ডেশন শুক্রবার বিকেলে সহিদ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় অসহায় কৃষক সহিদ মিয়া (৪৮) আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, কিস্তি তুলে তিনটি গরু কিনেছিলাম। ছয়টা কিস্তির মধ্যে তিনটি কিস্তি দিয়েছি। আগুনে আমার সব কিছু পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। এখন আমার খেয়ে পরে বাচতে কষ্ট হচ্ছে তার মধ্যে কিস্তি কিভাবে চালাই।
উল্লেখ্য গত ২৩ ফেব্রয়ারী বৃহস্পতিবার ভোর রাতে স্থানীয় লোকজন হঠাৎ সহিদ মিয়ার দোকান ঘর থকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন জ্বলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরোক্ষণে স্থানীয় মসজিদের মাইকে আগুন নিভানোর জন্য আহবান করলে, স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে সহিদ মিয়ার দোকান ঘরের পাশের কক্ষে থাকা তিনটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুল হুদা বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে সহিদ মিয়ার আনুমানিক ৫-৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা পরিষদ, ত্রান ও দূর্য্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।