কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত ৩ সাংবাদিক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সাংবাদিকরা হলেন, মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠের আজিজুর রহমান রনি, দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের এম ফয়জুল ইসলাম ও দৈনিক ভোরের সূর্যোদয়ের (সাবেক) শামীম আহম্মেদ।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকালেও মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে বসে সাংবাদিকরা কাজ করছিল। আনুমানিক পৌনে ৬টার দিকে মুরাদনগর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত মনিরুল হকের ছেলে সন্ত্রাসী মাহবুব আলম আরিফের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, হকিস্টিক, রামদা, কিরিচ ও লাঠিসোটা নিয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ ও এম ফয়জুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আহত সাংবাদিকরা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সন্ত্রাসীরা জরুরী বিভাগে গিয়ে পূনরায় হামলা করে।
তখন ওখানে উপস্থিত সাংবাদিক আজিজুর রহমান রনিকে টেনে হিছড়ে হাসপাতাল থেকে বাহিরে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালালে তিনিও গুরতর আহত হন।
বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।
কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহত সাংবাদিক আজিজুর রহমান রনি বলেন, ঘটনাটি তাৎক্ষনিক থানার ওসিকে ফোন দিলেও তিনি কোন প্রকার কর্নপাত করেনি। তিনি যথাসময়ে পুলিশ পাঠালে এ ঘটনা ঘটতো না। এ ঘটনার পর থেকে সাংবাদিকদের মধ্যে আতংক ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীরা যে কোন মুহুর্তে আবারোও সাংবাদিকদের উপর আক্রমন করে বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। ঘটনার পরপরই হামলার নেতৃত্বদানকারী সন্ত্রাসী মাহবুব আলম আরিফ পরিকল্পিত ভাবে নিজেই বাদী হয়ে আহত ৩ সাংবাদিকসহ মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমানের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত কামাল ড্রাইভারের ছেলে আবুল খায়ের এর নির্দেশে এ ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। এ সম্পর্কে আল্লাহু চত্তর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করলেই প্রকৃত হামলা কারীদের চিহ্নিত করা যাবে। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। তারা প্রেসক্লাবের কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং সাংবাদিক ফয়সালের পকেট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে অনেক সাংবাদিককে মুরাদনগর ছাড়া করতে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, মাহবুব আলমের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।