রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে ৬ বছরের এক শিশুকে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহিম (৬০) ওরফে বন্দে আলী মিয়ার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৭ টায় উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আব্দুর রহিম গুঞ্জর গ্রামের মৃত আনছর আলী বেপারীর ছেলে। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তকে সহযোগীতা করার অপরাধে তাঁর ছেলে আল আমিন (৩৭) ও স্হানীয় সেলিম মেম্বার (৪০)কে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করেন মুরাদনগর থানা পুলিশ।
জানা যায়, বৃহষ্পতিবার ভোর ৭ টায় গুঞ্জর দক্ষিনপাড়া নীজ বাড়ির ভাড়াটিয়া শিশুর সাথে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি পৈয়াপাথর বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলো। তাকে চকলেট খাওয়ানোর ইশারায় কাছে নেয় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম। এসময় শিশুটির মুখ চেপে ধরে কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন । শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ৫ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে মুখ চেপে রাখেন। বিষয়টি পাশের ঘরের এক মহিলা টের পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বৃদ্ধকে আটক করেন। পরে ওয়ার্ড মেম্বার ও কিছু সালিশি লোক বিচার করার কথা বলে ধর্ষক বৃদ্ধ রহিমকে ছেড়ে দেন।
বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টায় সালিশী বৈঠকে বসার কথা ছিলো। তখন মেয়ের বাবা এ বিচার মানেনা মর্মে পুলিশ কল করেন। পুলিশ সালিশি সেলিম মেম্বার ও বৃদ্ধার ছেলে আল আমিন (৩৭) কে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
শুক্রবার শুিশুটির পিতা রিপন মিয়া বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে আটকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির বাবা সুইপারের কাজ করেন। সে এখানে আব্দুর রহিম (বন্দে আলীর) ঘরে ভাড়া থাকেন। বৃহষ্পতিবার সকালে বন্দে আলী শিশুটিকে রুমের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে পাশের ঘরের মহিলা এসে তাকে স্হানীয়দের সহযোগিতায় আটক করেন।
তাঁরা আরো জানান ,আব্দুর রহিম ওরফে বন্দে আলী ১৫ দিন আগে ওমরাহ হজ্জ করে আসছেন। এই ধষর্ণের ঘটনাটি সামাজিকভাবে শেষ করতে চেয়েছিল তাঁর ছেলে ও দুই মেম্বার। কিন্তু মেয়ের বাবার কারণে শেষ হয়নি। সে পুলিশকে জানিয়ে অভিযোগ করেন। আমরাও চাই ঘটনার উপযুক্ত বিচার হউক। ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।
শিশুটির পিতা রিপন মিয়া বলেন, আমার বাসার মালিক আব্দুর রহিম বৃহষ্পতিবার সকালে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ধর্ষকের সবোর্চ্চ বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুল হক বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে সহযোগীতার অভিযোগে সেলিম মেম্বার ও অভিযুক্ত ব্যক্তির ছেলেকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামি ধর্ষক আব্দুর রহিম ওরফে বন্দে আলীকে আটক করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।