সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে : ইসি আহসান হাবিব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে মুখস্ত শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে তীব্র দাবদাহে ইসলামী যুব আন্দোলনের হাতপাখা বিতরণ দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে : বিচারপতি নিজামুল হক গলাচিপা ও দশমিনায় প্রকাশ্যে নিধন হচ্ছে রেনু পোনা,কথা বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ ডিএসইসির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ বেলা অবেলা : স্বপ্না রহমান ডিএসইসি’র নতুন সভাপতি ডিবিসি’র মুক্তাদির অনিক

ভোলায় খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশা পশুখামারিদের

সাব্বির আলম বাবু (নিজস্ব প্রতিবেদক):
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ৫৮১১ বার পঠিত

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন ভোলায় খামারিরা। উন্নত মানের খাবার দিয়ে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামারিরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন গরু। তবে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এবার লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদি খামারিরা।

তারা আরও মনে করছেন, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হলে বেশি দামে দেশি গরু বিক্রি করতে পারবেন তারা। ভোলার খামারীদের গরু প্রতি বছরের মত এ বছরও বাইরের জেলায় বিক্রি হবে। এদিকে, কোনোভাবেই যাতে রোগাকান্ত গরু বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য ২১টি ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ বছর হাটের পাশাপাশি ৮টি অনলাইন প্লাটফর্মেও গরু বিক্রির কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

খামারিরা জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত ৩ বছর ধরে পশুর হাট তেমন জমেনি। এবার করোনার সংকট না থাকায় পুরোপুরি হাট জমবে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করবেন খামারিরা।

ভোলা সদরের রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন খামার ঘুরে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি লাভের আশায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে খামারগুলোতে গরু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ছোট বড় খমারগুলোতে এখন দেখা যাচ্ছে দেশি গরুর সমারোহ। বেশি দাম দিয়ে পশু খাদ্য কিনে আনলেও এবার লাভের আশা করছেন খামারিরা। ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের খামারি মনসুর বলেন, গত ২ বছর ধরে গরুর ব্যবসা শুরু করি। এ বছরও গরু প্রস্তুত করেছি।

খামারি জাকির জোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের জন্য খামারে ৫৬টি গরু মোটাতাজাকরণ করেছি। আশা করি ভালো দাম পাবো।

রাজাপুর এলাকার আকতার ডেইরি ফার্মের পরিচালক আকতার হোসেন বলেন, এ বছর যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে তাহলে আমরা বাজার দাম ভালো পাবো। তাই আমাদের দাবি যেন ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে। জানা গেছে, প্রতি বছরই জেলার চাহিদা মিটিয়ে ভোলার গরু বাইরের জেলায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথায় আবার পশুর হাট বসেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার গরুর চাহিদার বিপরীতে ৯০ হাজার গরু-ছাগল সরবরাহ হবে বাজারে। গরুর হাটের পাশাপাশি এবার অনলাইনে অন্তত ৮ হাজারটি গরু-ছাগল বিক্রির লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ২১টি ভেটনাররি টিম। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ মন্ডল বলেন, কোনোমতেই যাতে রোগা গরু বাজারে বিক্রি না হয় সেজন্য আমাদের ভেটেনারি টিম মাঠে কাজ করবে। এবার ৯০টির বেশি পশুর জাট বসবে। চাহিদার বেশি গরু সরবরাহ রয়েছে।

ভোলা জেলায় ২ হাজার ৪৪৫টি বাণিজ্যক ও ১৮ হাজারটি পারিবারিক খামারে প্রায় ৫ লাখের অধিক গরু রয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..