বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেলা অবেলা : স্বপ্না রহমান ডিএসইসি’র নতুন সভাপতি ডিবিসি’র মুক্তাদির অনিক ডিএসইসি’র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের আলো’র জাওহার ইকবাল খান ডিএসইসি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক উত্তরদক্ষিণে’র শহীদ রানা ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ ২ যুবক গ্রেফতার কিশোরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যলাইন বিতরণ ডিএসইসি’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাইজিং বিডির আরিফ আহমেদ কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র‍্যালি অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হাওরে কৃষকদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের শরবত ও ঠান্ডা পানি বিতরণ

ভোলায় খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশা পশুখামারিদের

সাব্বির আলম বাবু (নিজস্ব প্রতিবেদক):
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ৫৮০৯ বার পঠিত

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন ভোলায় খামারিরা। উন্নত মানের খাবার দিয়ে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামারিরা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন গরু। তবে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও এবার লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদি খামারিরা।

তারা আরও মনে করছেন, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হলে বেশি দামে দেশি গরু বিক্রি করতে পারবেন তারা। ভোলার খামারীদের গরু প্রতি বছরের মত এ বছরও বাইরের জেলায় বিক্রি হবে। এদিকে, কোনোভাবেই যাতে রোগাকান্ত গরু বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য ২১টি ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ বছর হাটের পাশাপাশি ৮টি অনলাইন প্লাটফর্মেও গরু বিক্রির কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

খামারিরা জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে বিগত ৩ বছর ধরে পশুর হাট তেমন জমেনি। এবার করোনার সংকট না থাকায় পুরোপুরি হাট জমবে এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করবেন খামারিরা।

ভোলা সদরের রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন খামার ঘুরে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি লাভের আশায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে খামারগুলোতে গরু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ছোট বড় খমারগুলোতে এখন দেখা যাচ্ছে দেশি গরুর সমারোহ। বেশি দাম দিয়ে পশু খাদ্য কিনে আনলেও এবার লাভের আশা করছেন খামারিরা। ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের খামারি মনসুর বলেন, গত ২ বছর ধরে গরুর ব্যবসা শুরু করি। এ বছরও গরু প্রস্তুত করেছি।

খামারি জাকির জোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের জন্য খামারে ৫৬টি গরু মোটাতাজাকরণ করেছি। আশা করি ভালো দাম পাবো।

রাজাপুর এলাকার আকতার ডেইরি ফার্মের পরিচালক আকতার হোসেন বলেন, এ বছর যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে তাহলে আমরা বাজার দাম ভালো পাবো। তাই আমাদের দাবি যেন ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকে। জানা গেছে, প্রতি বছরই জেলার চাহিদা মিটিয়ে ভোলার গরু বাইরের জেলায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথায় আবার পশুর হাট বসেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার গরুর চাহিদার বিপরীতে ৯০ হাজার গরু-ছাগল সরবরাহ হবে বাজারে। গরুর হাটের পাশাপাশি এবার অনলাইনে অন্তত ৮ হাজারটি গরু-ছাগল বিক্রির লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ২১টি ভেটনাররি টিম। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ মন্ডল বলেন, কোনোমতেই যাতে রোগা গরু বাজারে বিক্রি না হয় সেজন্য আমাদের ভেটেনারি টিম মাঠে কাজ করবে। এবার ৯০টির বেশি পশুর জাট বসবে। চাহিদার বেশি গরু সরবরাহ রয়েছে।

ভোলা জেলায় ২ হাজার ৪৪৫টি বাণিজ্যক ও ১৮ হাজারটি পারিবারিক খামারে প্রায় ৫ লাখের অধিক গরু রয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..