পটুয়াখালীর গলাচিপায় সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের উপর অপর শিক্ষকের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই বিদ্যরলয়টির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
২৯শে ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯ টায় সুহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি হরিদেবপুর বাজারে গনিতের সহকারী শিক্ষক শিপন চন্দ্র রায়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায় একই স্কুলের শিক্ষক সবুজ খান ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরপরই ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
এদিন দুপুরের ঘটনাস্থল ও স্কুল পরিদর্শনের জানা যায়, ঘটনার পরপরই স্কুল ছেড়ে সকল শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকের সঙ্গে বাড়ি চলে যায় এবং শিক্ষকরাও শিক্ষার্থী না থাকায় বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এমন ঘটনার জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবী করেছেন এলাকাবাসী, অভিভাবক, ও শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী শিক্ষক ও তার সহকর্মীরা গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখি অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রধাান শিক্ষকের সেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে অনিয়মের ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত সহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় গনিতের সহকারী শিক্ষক শিপন চন্দ্র রায় সহকর্মীদের পক্ষে প্রতিবাদ জানায়। এঘটনায় পূর্বের দিন প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি সবুজ খান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে তাদের উপর চড়াও হলে তাৎক্ষণিক উপস্থিত সকলে মিলে তাকে নিবৃত্ত করে। এ ঘটনার জেরে বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে শিক্ষক শিপন চন্দ্র রায়ের উপর শিক্ষক সবুজ খান সহ ৭-৮ জন সন্ত্রাসী আবারো হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে।ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
অভিভাবক সবিতা রানী বলেন, ২৩ বছর যাবৎ পকেট কমিটি দিয়ে বিদ্যালয় চলে। আমি ইউএনও স্যার কে বলেছিলাম কমিটি করে দেয়ার জন্য যেন স্কুল ভালো চলে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হাবিব মৃধা বলেন, স্কুলের ভিতর শব্দ শুনে কাছে এসে দেখি অভিভাবকরা ছাত্রদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। ভাড়াটে পকেট কমিটি দিয়ে স্কুলটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনেছে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ওই স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে যেটি খুবই দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে ঘটনার কিছু আলামত পেয়েছি অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ কমিটি তৈরির ব্যাপারে কাগজপত্রের কোন ত্রুটি থাকলে সেই কমিটি বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর সুপারিশ করব।