কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ট্রাক্টর চালক উজ্জল মিয়াকে (৩২) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১০টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত উজ্জল মিয়া উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের দিগদাইড় মুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দীনের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার দিগদাইড় মুন্নাপাড়া গ্রামে কতিপয় ব্যক্তি মাদরাসুন নুর মুন্নাপাড়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য স্থানীয় একটি পুকুর থেকে ভেকু দিয়ে মাঠি কাটার সময় বাধা দেয় উমর ফারুক চন্দু মিয়া, তার ছেলে আকরাম সহ আরও অনেকেই। তাদের দাবি এভাবে মাটিকাটা হলে পার্শ্ববর্তী পুকুরের চতুর্দিকের মাটি ধসে পড়বে। এ নিয়ে মৃত নাজিম উদ্দীনের ছেলে উজ্জ্বলের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাগবিতন্ডার ঘন্টাখানেক পর উজ্জ্বলকে বাড়ির সামনে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাম হাতের কনুই ও কব্জিতে জখম করে আকরাম। উজ্জ্বলের চিৎকার চেচামেচিতে আত্মীয় স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আদনান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহত পাঁচ সন্তানের জনক উজ্জলের মা আঙ্গুরা খাতুন বলেন, যে পুকুর থেকে মাটি কাটা হচ্ছিল সেই পুকুরে আমরাও অংশীদার। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে ট্রাক্টর চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করে। বুধবার সকালে উমর ফারুক চন্দু মিয়ার ছেলে আকরামের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারও কিছুক্ষণ পর এর জেরে বাড়ির পাশে একা পেয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া আসাদ বলেন, শুনেছি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উজ্জলকে দেশীয় অস্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে । আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের কঠিন সাজা চাই।
এ বিষয়ে তাড়াইল থানার ওসি মানসুর আলী আরিফ বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসাপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগের পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় যেন আইনশৃংখলার অবনতি না ঘটে সেজন্যে এলাকায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।