নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সাজানো বলে মন্তব্য করেছেন সোসাইটির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সোসাইটির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে কথা বললে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তবে বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী বলছেন বিষয়টি সাজানো হয়ে থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন গত বছর সোসাইটির একজন কর্মকর্তার অসদাচরণের দায়ে চাকুরী চলে যায় যার কারনে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আবার কেউ যুক্তি দিচ্ছেন সোসাইটির যে কোন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট কোন একজন করে না বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন সেট তৈরী করে নিয়োগ কমিটির প্রধানকে পাঠায় এবং নিয়োগ কমিটির প্রধান ছাড়া কেউ জানেনা যে কোন সেট দিয়ে পরীক্ষা নিবে যার কারনে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন হতে পারে। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। কিন্তু তারপরেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জনও দুঃখজনক।
বিশ্বস্ত সুত্র মারফত জানা গেছে যে, পরীক্ষা শুরুর আড়াই ঘন্টা আগে উপ-মহাসচিব সুলতান আহম্মেদ, এইচ.আর.ডি ডিপার্টমেন্ট ও পার্টনারদের একটি ড্রাফট কপি পাঠানো হয়েছে যার কারনে কার কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় তবে তদন্ত সম্পন্ন হলে জানা যাবে।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ মে সোসাইটির ‘ডিসিআরএম’ বিভাগের ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৮জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। সে পরীক্ষায় একজন প্রার্থী পরীক্ষার হলে বসে প্রশ্ন ও পূর্বে তৈরীকৃত উত্তরপত্র বের করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে থাকেন। এ সময় নকলটি পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তার চোখে পরলে খাতাটি জব্দ করা হয় এবং এ বিষয় উচ্চ পর্যায়ের ১ টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।