রায়হান চৌধুরী, (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন এলাকায় মোঃ আলমগীর হোসেন মনির নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্যবসায়ীর নিজ বাড়ি বাঙ্গরা বাজার থানার আন্দিকুট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয়রাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ ওই ব্যবসায়ীর। এই বিষয়ে ব্যবসায়ী আলমগীর বাদী হয়ে একই এলাকার মোঃ আনিছ, মোঃ আবদুল হাকিম, মোঃ সজিব, মোঃ বাছির, মোঃ আবির, মোঃ দেলোয়ার ও পার্শ্ববর্তী গণিপুর এলাকার মোঃ মহসিনকে আসামী করে কুমিল্লার আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন মনির দীর্ঘদিন প্রবাস থেকে বাড়িতে এসে ভাঙ্গারি ও গাড়ির রেন্ট এ কার এর ব্যবসা করে আসছে। এরপর থেকে আসামীরা নানা ভাবে চাঁদা দাবী ও ব্যবসার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলো। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে ব্যবসায়ী আলমগীরের গাড়ি বিক্রি করা নগদ সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা তার ভাংগারী ব্যবসায় লাগানোর জন্য তার নিজ বাড়িতে রাখে। আসামী মোঃ আনিছ
টাকার কথা জানতে পেরে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনার কথা ব্যবসায়ী আলমগীর জানতে পেরে ঘটনার দিন সে বাড়িতে না থাকায় টাকাগুলো তার আত্মীয় শাহজাহানের বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য জমা রাখে। পরে, আসামীরা ব্যবসায়ী আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে হাতে এলজি (পাইপগান), রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক ও দা ছেনি নিয়ে শাহজাহানের ঘরে যায় ও দরজা জানালা কুপিয়ে ডাকাতরা তার ঘরে প্রবেশ করেই শাহজাহানের মাথায় পাইপগান ও গলায় রামদা ঠেকিয়ে টাকাগুলো দিতে বলে। এমন সময় আসামীরা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় ঘটনা আঁচ করতে পেরে ব্যবসায়ী আলমগীর সেখানে হাজির হলে তখন আনিস তার হাতে থাকা পাইপগান দিয়ে তাকে আঘাত করে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। পরে, ৯৯৯ এ কল দিলে থানার এসআই এসে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।
এই বিষয়ে ব্যবসায়ী আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার গাড়ি বেঁচা টাকা ব্যবসায় কাজে লাগানোর জন্য রেখেছিলাম। তারা সব নিয়ে গেলো আমার। আমি ডাকাতি করার টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযোগ দিলে থানায় অভিযোগ না রেখে আমাকে ঘুরাইতে থাকে। থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করায় কোর্টে মামলা করার জন্য দ্বারস্থ হই। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার টাকাগুলো ফেরত চাই।
ব্যবসায়ী আলমগীরের স্ত্রী জোনাকী আকতার বলেন, আমার স্বামীকে তারা ওইদিন মেরেই ফেলতো। আমি এই ঘটনার বিচার প্রশাসনের কাছে চাই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলা নিবো বলেছি। এই বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।