শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করতে শুরু করেছে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা সম্ভব : মির্জা ফখরুল সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত সিলেট মহানগর বিএনপির পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সিলেটে বেড়েছে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের দৌরাত্ম্যে কাঁঠালিয়াতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় সিলেটে চীনা নাগরিক হত্যায় ১০ বছরের কারাদন্ড সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অবরুদ্ধ !! সেনাবাহিনীর হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মুত্যু, চালক আটক মির্জাগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ বিএনপি’র সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

বন্দরে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই বিএনপি নেতার দ্বন্দ্ব

অনলাইন ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৭৫৮ বার পঠিত

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন লক্ষণখোলা এলাকায় চাইনিজদের মালিকানাধীন একটি ব্যাটারি কারখানা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন স্থানীয় দুই বিএনপি নেতা। কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে বন্দর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া দুই দফায় ৫ লাখ টাকা করে চাঁদার টাকা গ্রহণ করেন। ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরীর ভেতরে অবস্থিত সিসিটিভির ফুটেজে চাঁদা নেয়ার দৃশ্য রয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতা ফারুক হোসেন এবং চুন্নু মিয়া সরাসরি এসে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এই অজুহাত তুলে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ব্যাটারী কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আপোষ রফায় গত ১০ অক্টোবর এবং ১৫ অক্টোবর দুই দফায় কারখানার অফিস থেকে ৫ লাখ করে চাঁদা নিয়ে যায় বিএনপির এই দুই নেতা। আদায়কৃত টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনের সাথে সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়ার বিরোধ বাঁধে। এই বিরোধের জের ধরে গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষণখোলা মাদ্রাসা স্ট্যান্ড সংলগ্ন চুন্নুর অফিসে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারী কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া তারই সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজু, রাজু, বাবুসহ ১২ জনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে বন্দর থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এলাকাবাসী জানায়, ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরী থেকে আদায় করা ১০ লাখ চাঁদাবাজির টাকার বেশির ভাগ অংশই চুন্নু মিয়া নিজের কাছে রেখে দিলে সভাপতি ফারুক হোসেনের সাথে তার বিরোধ বাঁধে। মামলার এজাহারে স্থানীয় তিন ব্যবসায়ী সাজু, রাজু ও বাবুকে আসামী করে ভিন্নভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা চালাচ্ছে ফারুক হোসেন ওরফে চুন্নু মিয়া।

এদিকে চুন্নু মিয়া টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, তার সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া মামলার এজাহারের যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ১ নভেম্বর মাদক বিরোধী শোডাউন করায় ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন ও বাহিনীর সদস্যরা তার অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।

ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরী থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা উঠানোর অফিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..